যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পোষ্যকে নিয়ে দেশে ফেরার নাছোড় মনোভাবের জন্য প্রথম খবরের শিরোনামে আসেন দেহরাদূনের বাসিন্দা ঋষভ কৌশিক। ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। উদ্ধারকারী বিমানে ওঠার ছাড়পত্র পেলেও তাঁর পোষ্য মালিবু (পোষ্যের নাম) পায়নি। ফলে তিনি বিমান ধরতে পারেননি ঋষভ। পরে অবশ্য তিনি পোষ্যকে নিয়েই বিমানে দেশে ফিরেছেন।
পষ্যকে কোলে নিয়ে পডুয়ারা ছবি এএনআই
মাথার উপর উড়ে বেড়াচ্ছে বোমারু বিমান। মুহুর্মুহু শোনা যাচ্ছে বোমা পড়ার শব্দ। ইউক্রেন ছাড়ার জন্য মরিয়া পডুয়ারা হাতের কাছে নিজের যেটুকু জিনিস পেয়েছেন, তা নিয়েই রওনা দিয়েছেন সীমান্তের দিকে। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও ভোলেননি নিজেদের পোষ্যকে নিতে। কেউ আবার বন্ধুর ছেড়ে যাওয়া পোষ্য নিয়ে রাওনা দিয়েছেন সীমান্তের দিকে। তাদের ছাড়া বিমানে উঠবেন না তাঁরা— পডুয়াদের এই নাছোড় মনোভাবে নিয়ম শিথিল করে পোষ্য নিয়ে বিমানে ওঠার অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পোষ্যকে নিয়ে দেশে ফেরার নাছোড় মনোভাবের জন্য প্রথম খবরের শিরোনামে আসেন দেহরাদূনের বাসিন্দা ঋষভ কৌশিক। ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। উদ্ধারকারী বিমানে ওঠার ছাড়পত্র পেলেও তাঁর পোষ্য মালিবু (পোষ্যের নাম) পায়নি। ফলে তিনি বিমান ধরতে পারেননি ঋষভ। পরে অবশ্য তিনি পোষ্যকে নিয়েই বিমানে দেশে ফিরেছেন।
কেরলের বাসিন্দা আর্য অলড্রিন তাঁর পোষ্য কুকুর সাইরাকে নিয়ে ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রোমানিয়া পৌঁছেছেন। সাইরাকে নেওয়ার জন্য নিজের পোশাক ভর্তি একটি ব্যাগ ছেড়ে এসেছেন। এমনকি, তাঁর জল ভর্তি বোতলটাও নেননি।
জাহিদ অবশ্য নিজের নয়, বন্ধুর ছেড়ে আসা কুকুরকে নিয়ে দেশে ভারতে ফিরেছেন। বন্ধু চলে গেছেন আগেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে তাকে ছেড়ে আসতে মন চায়নি জাহিদের। ওই কুকুরকে সঙ্গে করেই দেশে ফিরেছেন তিনি।
ডাক্তারি পড়ুয়া গৌতমের সঙ্গে একটি বিড়াল চারমাস ধরে ছিল। কিভ ছাড়ার সময় তাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। দু’জনে একসঙ্গে বাঙ্কারে রাত কাটিয়েছেন। বোমার তীব্র শব্দ শুনে গৌতমের বুকেই মুখ লুকিয়েছে বিড়ালটি। তাকে কোলে করেই পোলান্ড সীমান্তে পৌঁছেছেন গৌতম।