ছবি রয়টার্স।
ইউক্রেনর সঙ্গে চলতে থাকা যুদ্ধ অবিলম্বে থামানোর আর্জি জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করল সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদন সংস্থা লুকঅয়েল।
বিশ্বের মোট উৎপাদিত অশোধিত তেলের প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদন করে এই রুশ সংস্থা। প্রায় এক লক্ষ কর্মী কাজ করেন এই সংস্থায়।
সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ তাদের অংশীদার, কর্মচারি এবং গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতিতে এই সশস্ত্র সংঘাতের দ্রুততম অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ সকলের প্রতি আমরা আন্তরিক সহানভূতি প্রকাশ করছি। আমরা চাই অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং আলোচনা মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক।’
লুকওয়েলের চেয়ারম্যান এবং সিইও ভ্যগিট অ্যালেকপ্রভ রাশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, লুকওয়েলের বেশির ভাগ অংশীদারিই এই প্রাক্তন তৈল শোধনাগার কর্মী ও তাঁর সহকারি লিওনিড ফেডানের হাতের রয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির ফলে পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার জন্য় আন্তর্জাতিক ব্যবাসায়ীরা রাশিয়ার অশোধিত তেল কেনার থেকে দূরে থাকছেন। ফলে লুকঅয়েলকে প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। লন্ডনে এই সংস্থার শেয়ার দর পড়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে কোম্পানির শেয়ারের ওপর সমস্ত লেনদেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধু লন্ডন নয় আমেরিকাতেও ব্যবসা চালাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে লুকঅয়েলকে। নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনিসিলভেনিয়া জুড়ে প্রায় দু’শোটির উপর পেট্রল পাম্প রয়েছে সংস্থার। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা সংস্থাটিকে বয়কট করেছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার আরও দুই ধনকুবের মিকাইল ফ্রিডম্যান ও ওলেগ দেরিপাস্কা যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে তাঁদের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। মিকাইল ফ্রিডম্যান রাশিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক আলফা ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। এই আলফা ব্যাঙ্কের উপরও সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।