Stabbing in Chhattisgarh

মন দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেছিলেন! ছত্তীসগঢ়ে শিক্ষককে এলোপাথাড়ি কোপ ছাত্রের

অভিযোগ, নতুন এই ছাত্র পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল না। সেই নিয়ে শিক্ষকেরা প্রায়ই বকাবকি করতেন। তাকে মনে দিয়ে পড়াশোনার কথাও বলতেন। এই কারণে আহমেদকে পছন্দ করত না ওই ছাত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৪২
Share:

জুনেদ আহমেদ নামে শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত ওই স্কুলেরই আরও এক শিক্ষক কুলপ্রীত সিংহ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পড়ায় মন দিতে বলতেন শিক্ষক। বকাবকি করতেন। অভিযোগ, রাগে শিক্ষককে প্রকাশ্যে কোপ মারে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। জুনেদ আহমেদ নামে শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত ওই বেসরকারি স্কুলেরই আরও এক শিক্ষক কুলপ্রীত সিংহ। ছত্তীসগঢ়ের ধামতারি জেলার ঘটনা। আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্ত ১৭ বছরের কিশোর এখনও ফেরার। যে অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ছাত্র, সেটিরও খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষাবর্ষের মাঝে অন্য একটি স্কুল থেকে এই স্কুলে এসেছিল ছাত্র। কেন, সেই কারণ জানা যায়নি। অভিযোগ, নতুন এই ছাত্র পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল না। সেই নিয়ে শিক্ষকেরা প্রায়ই বকাবকি করতেন। তাকে মনে দিয়ে পড়াশোনার কথাও বলতেন। এই কারণে আহমেদকে পছন্দ করত না ওই ছাত্র। এর মধ্যেই তাকে স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসতে আহমেদ বারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাতে আরও চটে যায় ওই ছাত্র। যদিও এই নিয়ে কোনও সহপাঠীকে কিছু বলেনি সে। আহত শিক্ষকের বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ছাত্রকে গত কয়েক দিন ধরে তাঁর বাড়ির আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার স্কুলব্যাগে ছুরি ভরে স্কুল গিয়েছিল অভিযুক্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্কুল ছুটির পর অন্য ছাত্রদের সঙ্গে বাসে উঠছিলেন আহমেদ। তখন পিছন থেকে গিয়ে তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে অভিযুক্ত। ক্রমাগত আহমেদের মাথা, পিঠে কোপাতে থাকে সে। কুলপ্রীত বাধা দিতে গেলে তাঁর হাতেও কোপ দেয় অভিযুক্ত। তার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। দুই শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কুলজিৎকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement