TMC Rajya Sabha Candidate

রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল, আসন শূন্য হয়ে গিয়েছিল জহর সরকারের ইস্তফায়

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। সেই আসন এত দিন শূন্য ছিল। এ বার উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৫০
Share:

তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যসভায় ফাঁকা আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। সেই আসন এত দিন শূন্য ছিল। রাজ্যসভার উপনির্বাচন আসন্ন। সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল জহরের। সংসদের উচ্চকক্ষে সেই শূন্য আসনে এ বার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল রাজ্যের শাসকদল। শনিবার সমাজমাধ্যমে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের তরফে সমাজমাধ্যমে লেখা হয়েছে, ‘‘আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ওঁকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করব, উনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন এবং প্রত্যেক ভারতীয়ের অধিকারের কথা বলে যাবেন।’’

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সমাজমাধ্যমে ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘ঋতব্রত এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্য জুড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীদের জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সময় লাগতে পারে, কিন্তু পরিশ্রমের দাম সব সময়ই পাওয়া যায়।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়েন জহর। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। দলনেত্রী মমতাকে চিঠি লিখে পদ ছাড়ার কথা বলেছিলেন জহর। চিঠিতে জহর লিখেছিলেন, ‘‘গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’’ আরজি কর নিয়ে জনরোষের আবহে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল জহরের এই চিঠি। সেই থেকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের পদটি শূন্য ছিল।

ঋতব্রত একসময়ে ছিলেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেতা। আশুতোষ কলেজে পড়াশোনার সময়ে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্নেহের পাত্র ছিলেন ঋতব্রত। ২০১৪ সালে সিপিএম তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। সিপিএম সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে আগ্রহী ছিলেন বুদ্ধদেব নিজেই। কিন্তু এর পর কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য ২০১৭ সালে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করে। বেশ কিছু সময় দলহীন রাজনীতির পর তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত। ২০২১ সালের ভোটের পর তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি করা হয়। সেই সাংগঠনিক কাজেই এত দিন ব্যস্ত ছিলেন। এ বার তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement