পথকুকুরদের সরানোর কাজে হাত লাগিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ছবি টুইটার।
মাহেন্দ্রক্ষণ দুপুর আড়াইটে। তার আগে ঘড়ির কাঁটা যত ঘুরছে, ততই তৎপরতা বাড়ছে নয়ডার যমজ অট্টালিকা চত্বরে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদেই গুঁড়িয়ে ফেলা হবে কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই বহুতল। আশপাশের এলাকাবাসীদের মতো এ বার পথকুকুরদেরও সরানো হল।
রবিবার সকাল থেকেই অট্টালিকা সংলগ্ন এলাকার একাধিক পথকুকুরকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে হাত মিলিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩০-৩৫টি পথকুকুরকে সরানো হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্মী।
পথকুকুরদের সরিয়ে নয়ডার সেক্টর ৯৪ এলাকায় ‘অ্যানিম্যাল সেন্টার’ (পশু কেন্দ্র)-এ নিয়ে যাওয়া হবে। সোমবার বা মঙ্গলবার ওই পথকুকুরগুলিকে আবারও ছেড়ে দেওয়া হবে। কুকুরদের নিরাপদ স্থানে সরাতে বিশেষ গাড়ি আনা হয়েছে।
রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ভেঙে ফেলা হবে এই বহুতল। ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরকের সাহায্যে ধ্বংস করা হবে অট্টালিকা। সকাল ৭টা থেকে অট্টালিকা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বহুতল ভাঙতে গিয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। অট্টালিকা ধ্বংসের সময় তার এক নটিক্যাল মাইলের (১.৮ কিলোমিটার) মধ্যে কোনও বিমান যাতে না ওড়ে, সে নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে নয়ডা প্রশাসন। ধ্বংসের জেরে ধুলোর আস্তরণ পড়তে পারে, তাই দমকলের ইঞ্জিন রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাখা হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সও।
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নয়ডার এই বহুতল। এটি বেআইনি নির্মাণ বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। যার জল গড়িয়েছিল আদালতে। শেষে ২০২২ সালের ১২ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ২৮ অগস্ট ভেঙে ফেলতে হবে এই বহুতল। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই রবিবার ভাঙা হচ্ছে এই অট্টালিকা।