কিশোরীকে কিনে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন সেই ব্যক্তি।
১৪ বছরের মেয়েকে ৪০ বছরের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তার সৎ বাবা! বিনিময়ে নিয়েছিলেন ৩ লক্ষ টাকা। ওই কিশোরীকে কিনে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন সেই ব্যক্তি। তার পর ন’মাস ধরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে কোনও মতে পালিয়ে জয়পুরে এসে পৌঁছয় কিশোরী। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জয়পুরের জহর সার্কল থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুলিশকে খবর দিয়েছিল। উদ্ধারের সময় মত্ত অবস্থায় পড়েছিল কিশোরী।
ওই কিশোরী রাজস্থানের ঢোলপুরের বাসিন্দা। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। মায়ের মৃত্যুর পর তার উপর নির্যাতন শুরু করেন সৎ বাবা। কিশোরী আরও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কান দেননি বাবা। ৪০ বছরের ওই ব্যক্তির কাছে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর কিশোরীকে বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি, যিনি পাশের গ্রামেই থাকতেন। শেষ ন’মাস শ্বশুরবাড়িতেই ছিল কিশোরী। সেখানে ন’মাস ধরে তার স্বামী ধর্ষণ করেন।’’
পুলিশকে ওই কিশোরী জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকে বহু বার পালানোর চেষ্টা করেছিল সে। পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৪ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। জয়পুরের জহর সার্কলে তার এক পরিচিত থাকেন। সেখানেই আসার চেষ্টা করছিল। তাকে জোর করে কেউ মাদক খাইয়েছিল কি না, জানা যায়নি। কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে মানব পাচার, ধর্ষণ, নিগ্রহের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।