প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে সতর্ক না হলে দেশে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছেন এমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। আজ কোভিড সংক্রান্ত এক আলোচনাচক্রে মূলত আসন্ন উৎসবের মরসুমে বাড়িতে থেকে করোনা সংক্রমণ রোখার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
গত বছরের শেষ দিকে দেশে ধীরে ধীরে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। মূলত উৎসবের দিনগুলিতে মানুষের ভিড় ওই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল। যা পরে দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে ডেকে আনে। এ বারও বছরের শেষে তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই ঢেউ আটকাতে তাই উৎসবের দিনগুলিতে সাবধানে থাকা খুব জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সেই কারণে দুর্গাপুজো, দশেরা, দীপাবলি, ইদের মতো উৎসবের দিনগুলিতে বাড়িতে থাকার জন্য লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজও মন্ত্রকের কোভিড চর্চা অনুষ্ঠানে এমসের
প্রধান গুলেরিয়া বলেন, “আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতে বাড়িতে থাকাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, একটি স্থানে হঠাৎ করে জনঘনত্বের বৃদ্ধি সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এই মুহূর্তে আমরা যে পরিস্থিতিতে রয়েছি তাতে কোনও ভাবেই তৃতীয় ঢেউকে ডেকে আনতে পারি না।” গুলেরিয়ার মতে, দেশে তৃতীয় ঢেউ আসবে কি না তা অনেকাংশে নির্ভর করছে আম জনতার উপরে। উৎসবের দিনগুলিতে মানুষ যদি বাড়িতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কাটায়, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে। আগামী তিন মাসে
যদি সংক্রমণ উল্লেখজনক ভাবে না বাড়ে, সে ক্ষেত্রে তৃতীয় ঢেউকে রুখে দেওয়া যাবে বলেই আশা করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
টিকাকরণের উপরেও জোর দিয়েছেন গুলেরিয়া। যাঁরা এখনও টিকা নেননি তাঁদের টিকা নেওয়ার জন্য সওয়াল করেন তিনি। গুলেরিয়ার মতে, করোনা দেশ থেকে একেবারে মুছে না গেলেও, টিকাকরণের ফলে করোনা সংক্রমণের গতি আগের থেকে অনেক হ্রাস পেয়েছে। অন্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী
কিছু দিনের মধ্যে করোনা স্থানীয় রোগে পরিণত হবে। এ বিষয়ে আশাবাদী গুলেরিয়া বলেন, “যেহেতু দেশের বড় সংখ্যক জনগণের শরীরে করোনা-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে, তাই সংক্রমণ
ক্ষমতা হারাচ্ছে করোনাভাইরাস। যাঁদের অন্য অসুস্থতা রয়েছে বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, কিংবা যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গুলেরিয়া।