মৃত্যুর তদন্ত ঠিক পথেই, দাবি শীর্ষ আদালতে

ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার ও শক্তিপদ সর্দার— বিজেপির তিন কর্মীর মৃত্যুর তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং শাসক দলের লোকেদেরও আড়াল করা হচ্ছে না বলে দাবি করল রাজ্য সরকার। এবং এই যুক্তিতে তিন জনের মৃত্যুর তদন্তে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করল তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৫৮
Share:

ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার ও শক্তিপদ সর্দার— বিজেপির তিন কর্মীর মৃত্যুর তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং শাসক দলের লোকেদেরও আড়াল করা হচ্ছে না বলে দাবি করল রাজ্য সরকার। এবং এই যুক্তিতে তিন জনের মৃত্যুর তদন্তে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করল তারা।

Advertisement

সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন গৌরব ভাটিয়া। ভাটিয়া বিজেপির নেতা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীও। বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ রাজ্যের বক্তব্য জানতে চায়। রাজ্য হলফনামা দিয়ে জানায়, তিন জনের মধ্যে দুলাল কুমার আত্মহত্যা করেছিলেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। বাকি দু’জনের খুনের ঘটনাতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের এই হলফনামার পাল্টা জবাব দিতে আজ চার সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছেন ভাটিয়া।

গত ৩০ মে পুরুলিয়ার বলরামপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ত্রিলোচন মাহাতোর দেহ। তাঁর পিঠে আটকানো পোস্টারে লেখা ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করার শাস্তি। দিন তিনেক পরে সেই বলরামপুরে দুলাল কুমার নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২৮ জুলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে খুন হন বিজেপির স্থানীয় নেতা শক্তিপদ সর্দার। তিনটি খুনেই তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল তা অস্বীকার করে। সুপ্রিম কোর্টে ভাটিয়া অভিযোগ তোলেন, রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসন অপরাধীদেরই আড়াল করছে। কারণ, তাঁরা শাসক দলের লোক।

Advertisement

রাজ্য সরকার হলফনামায় দাবি করেছে, এই মামলা আসলে কালি ছেটানোর চেষ্টা। কারণ, শক্তিপদ খুনের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সুজাতা যে আট জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, ঘটনার রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারেরা তদন্তের তদারকি করছেন। শক্তিপদ তফসিলি জনজাতিভুক্ত। তাই তফসিলি জাতি নির্যাতন প্রতিরোধ আইনেও মামলা করা হয়েছে।

ত্রিলোচন মাহাতোর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের দাবি, ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে একজনের নাম ত্রিলোচনের বাবা হরিরামের করা এফআইআর-এই রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় সাক্ষী না মেলায় পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এই খুনের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে। আর দুলাল কুমারের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের দাবি, পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের বোর্ড জানিয়েছে, আত্মহত্যা করেছিলেন দুলাল। তাঁর শরীরে বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement