প্রবীণকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ব্যাঙ্ককে। —প্রতীকী ছবি
শোধের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ঋণের টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন প্রবীণ এক আইনজীবী। তার পরেও বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বার বার ফোন করে বিরক্ত করা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ, চার মাসে ৫৮ বারেরও বেশি বার টাকা আদায়কারী এজেন্টের মাধ্যমে ফোন এবং মেসেজ করিয়েছে ব্যাঙ্ক। সে জন্য ওই প্রবীণকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ব্যাঙ্ককে। এমনই নির্দেশ দিল ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ, বার্ষিক আট শতাংশ সুদের হারে ওই ক্ষতিপূরণের টাকা প্রবীণ আইনজীবীকে ফেরত দিতে হবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের। পাশাপাশি তাঁকে মামলার খরচ হিসেবে আরও ১০ হাজার টাকা দিতে হবে ব্যাঙ্ককে।
৭৫ বছরের ওই আইনজীবীর নাম লোগানাথন জয়কুমার। তিনি মাদ্রাজ হাই কোর্টে আইন অনুশীলন করেন। বেঙ্গালুরুর কোরামাঙ্গলার বাসিন্দা। গত ২৫ বছর ধরে ওই ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তিনি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৩১ হাজার ২৭১ টাকার একটি চেক ব্যাঙ্কে গিয়ে দিয়ে আসেন লোগানাথন। আগের একটি লেনদেনের জন্য ওই টাকা বকেয়া ছিল তাঁর।
তার কয়েক দিন পর থেকেই ব্যাঙ্কের ফোন এবং মেসেজ পেতে শুরু করেন লোগানাথন। তাতে বলা হয়, টাকা না মেটালে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে ব্যাঙ্ক। অভিযোগ, ২০২২ সালের ৮ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি লোগানথনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ২৬ বার ফোন এবং মেসেজ করেছিল ব্যাঙ্ক।
এর পরেই ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন লোগানাথন। ব্যাঙ্ক দুঃখপ্রকাশ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ৭ জুন পর্যন্ত তাঁকে ফোন, মেসেজ করে হেনস্থা করে গিয়েছে আদায়কারী সংস্থা, এমনটাই আদালতে জানিয়েছেন লোগানাথন। এ বার ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্ককে। জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের বার বার ফোন ‘মানসিক যন্ত্রণা’ দিয়েছে প্রবীণকে।