ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কিশোরীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তিন বছর ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছিলেন ২১ বছরের যুবক। তাতে সাড়া দেননি ১৭ বছরের কিশোরী। সেই আক্রোশে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কিশোরীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়ালা জেলার ঘটনা। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। কিশোরেরও শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্ত্যক্ত করে যাচ্ছিলেন রাঘবেন্দ্র। প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাকে। কিশোরী কাকিনাড়া জেলার বাসিন্দা। অভিযুক্তের হাত থেকে বাঁচাতে মেয়েটিকে নান্দিয়ালে তার মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল পরিবার। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
সোমবার গভীর রাতে কিশোরীর মামার বাড়িতে পৌঁছে যান রাঘবেন্দ্র। অভিযোগ, সে যে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল, তার দরজায় ধাক্কা দেন। কিশোরী দরজা খুলতেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ভিতর দরজা বন্ধ করে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন রাঘবেন্দ্র। সে যাতে চিৎকার করতে না পারে, তাই তার মুখও বেঁধে দেন। পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভোর ৪টে নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়ে যান রাঘবেন্দ্র। তত ক্ষণে প্রায় পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে কিশোরীর শরীর। রাঘবেন্দ্রের শরীরের অংশও পুড়ে গিয়েছে। কিশোরীর ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যুবক। তাঁকে ধরে ফেলেন স্থানীয়েরা। তার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। জেরায় রাঘবেন্দ্র প্রথমে দাবি করেন, দুর্ঘটনার কারণে পুড়ে গিয়েছে কিশোরী।
পুলিশের ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে। অন্ধ্রের পুলিশ মন্ত্রী এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেছেন।