অসমে এ বার ভাঙল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। হাগ্রামা, ভূপেন এবং আজমল। ছবি: সংগৃহীত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কয়েক সপ্তাহ আগেই অসমের কংগ্রেসনেত্রী সুস্মিতা দেব যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। শিলচর-সহ বরাক উপত্যকা জুড়ে দল ছেড়েছেন কংগ্রেসের অনেক নেতা-কর্মী। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ভাঙন ধরল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী মহোজোটে।
‘বিজেপি স্তুতি’র অভিযোগে জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (এআইইউডিএফ)-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরার নেতৃত্বে দলের প্রদেশ কোর কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহাজোটের তৃতীয় বৃহত্তম শরিক ‘বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট’ (বিপিএফ)-এর সঙ্গেও সনিয়া গাঁধীর দলের ফাটল সামনে এসেছে।
অসম প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে মঙ্গলবার টুইট-বার্তায় বলা হয়েছে, ‘প্রদেশ কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইইউডিএফ আর মহাজোটের শরিক থাকবে না। বিপিএফ নেতৃত্বকে মহাজোটের বিষয়ে তাদের অবস্থান প্রকাশ্যে বা লিখিত ভাবে জানানোর কথাও বলা হয়েছে।’ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যে ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে বিরোধী জোটের ভাঙনে উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে শাসকদল বিজেপি-র সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১০ দলের বিজেপি-বিরোধী মহাজোট গড়া হয়েছিল। বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ২৯, এআইইউডিএফ ১৬, বিপিএফ ৪ এবং আর এক সহযোগী সিপিএম ১টি আসনে জেতে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল-সহ দলের একাধিক নেতা সম্প্রতি বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর নরম করেছেন। যদিও দলের সাংসদ সিরাজুদ্দিন আজমল সেই অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা পরিকল্পনা মাফিক মহাজোটে ভাঙন ধরাতে চাইছেন।’’ বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারিও মহাজোট ছেড়ে বিজেপি-র সহযোগী হতে পারেন বলে সে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ইঙ্গিত দিয়েছে।