সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে, পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা সে দেশের অর্থনীতির থেকেও তলানিতে ঠেকেছে বলেও মন্তব্য জয়শঙ্করের। ফাইল চিত্র ।
সন্ত্রাস বাণিজ্যের প্রচারক, সমর্থক এবং মুখপাত্র। নাম না করে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারিকে এই বলেই আক্রমণ করলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শুক্রবার শাংহাই কো-অপারেশনের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক ছিল। সেখান থেকে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘শাংহাই কো-অপারেশনের সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে বিলাবলের সঙ্গে যা আচরণ করার তা-ই করা হয়েছে। পাকিস্তানের মূল ভিত্তি সন্ত্রাস বাণিজ্য। আর সেই বাণিজ্যের প্রচারক, সমর্থক এবং মুখপাত্র হিসাবে তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং ওঁর প্রশ্নের পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছিল।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর নাম না করে আরও বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের ভুক্তভোগীরা কখনও এর নেপথ্যে থাকা অপরাধীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বসে না।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘শাংহাই কো-অপারেশনের সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে ভারতে এসেছিলেন বিলাবল। এটি বহুপাক্ষিক কূটনীতির অংশ এবং আমরা তাঁর ভারতে আসাকে এর থেকে বেশি আমল দিতে চাই না।’’
সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে, পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা সে দেশের অর্থনীতির থেকেও তলানিতে ঠেকেছে বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। আর্থিক সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে বিশাল ঋণের বোঝা মেটাতে পাকিস্তান দরজায় দরজায় কড়া নাড়ছে বলে তাঁর দাবি।
শাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকে, জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ থেকে চোখ না সরিয়ে নেওয়াই শাংহাই কো-অপারেশনের জন্য ভাল হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, জয়শঙ্করের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কাছে একটি জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হাতে নিহত হন পাঁচ ভারতীয় জওয়ান।
শাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকে যোগ দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির লক্ষ্যে আলাদা করে বৈঠকে বসেননি জয়শঙ্কর এবং বিলাবল।
অন্য দিকে, বৈঠকে যোগ দিতে গোয়া এসে বিলাবল শুক্রবার মন্তব্য করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা না করলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করা সম্ভব নয়।