স্পাইসজেট জানাচ্ছে ইতিমধ্যে ৪০০ কোটি টাকা জোগাড় করেছে তারা। ২৫টি বিমানকে আবার ওড়ানোর জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। —ফাইল চিত্র।
অর্থের অভাবে ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর কম খরচে পরিষেবা সংস্থা গো-ফাস্টের ৫০ শতাংশ বিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাকে বাঁচাতে দেউলিয়া আইনে আবেদন করেছে তারা। এ বার স্বল্প খরচে উড়ান পরিষেবা দেওয়া স্পাইসজেট ঘোষণা করল বসে থাকা ২৫টি উড়ানকে আবার পরিষেবায় ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের জরুরি তহবিল ব্যবহার করবে তারা।
স্পাইসজেট জানাচ্ছে ইতিমধ্যে ৪০০ কোটি টাকা জোগাড় করেছে তারা। ২৫টি বিমানকে আবার ওড়ানোর জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। এ জন্য কেন্দ্রের ‘ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম’ (ইসিএলজিএস) থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হবে। বস্তুত, অতিমারি এবং করোনা মোকাবিলায় তৈরি হয় কেন্দ্রের এই জরুরি তহবিল। সেই তহবিল থেকে সাহায্য নিচ্ছে বলে জানাচ্ছে স্পাইসজেট। সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজয় সিংহ একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই বসে যাওয়া উড়ানগুলিকে পরিষেবায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইসিএলজিএস থেকে তহবিল থেকে ওই পুঁজি ব্যবহার করব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই মরসুমে প্রচুর মানুষ উড়ান পরিষেবা ব্যবহার করছেন। আশা করছি, তাঁরা উপকৃত হবেন।’’
বস্তুত, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই স্পাইসজেট জানায় তাদের ত্রৈমাসিক লোকসান এবং নগদের অভাবের জন্য মূলধন বাড়ানোর বিকল্প কী হবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। তার মধ্যে সংস্থার শেয়ার দর হুড়মুড়িয়ে নেমেছে।
গো-ফাস্ট সংস্থাকে বাঁচাতে দেউলিয়া ঘোষণার পর আবার একটি বড় বিমান সংস্থার পতনের আশঙ্কা শুরু হয়েছে। স্পাইসজেট নিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট বিমান পরিবহণ সংস্থাকে যথা সম্ভব সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অংশীদারদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে।’’