সাক্ষাৎ: রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার । পিটিআই
ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। আজ মুর্মুর প্রথম কাজের দিনে তাঁর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’পক্ষই এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎকার বললেও, সূত্রের মতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিস্তার থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়োগের মতো একাধিক বিষয় আটকে রয়েছে। যা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে কথা হয়ে থাকতে পারে দু’জনের।
গত কাল রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। তার পরে আজই সকাল দশটার কিছু পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে যান নরেন্দ্র মোদী। পরে রাষ্ট্রপতির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দু’জনের বৈঠকের ছবি টুইট করে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার পরে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করতে প্রথম বার রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দু’জনের মধ্যে কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে শাসক শিবির সূত্রের মতে, দু’বছর বাদেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মন্ত্রিসভার একটি রদবদল বকেয়া রয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে বিদ্রোহী শিবসেনা গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। ফলে শিবসেনার বিদ্রোহী শিবির থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার চাপ রয়েছে কেন্দ্রের উপরে। অতীতে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় শিবসেনা দলের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও, উদ্ধব ঠাকরে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেই স্থানটি ফাঁকা রয়েছে। এখন বিদ্রোহী শিবসেনা গোষ্ঠী মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখল করায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তত দু’জন শিবসেনা সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি জানিয়েছে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী।
সম্প্রতি রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি ও কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী আরসিপি সিংহের। মুখতারকে বিজেপি ও আরসিপিকে জেডিইউ রাজ্যসভার টিকিট না দেওয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগে তাঁরা নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন। মুখতার ও আরসিপি সিংহেরমন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে স্মৃতি ইরানি ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। ফলে ওই দুই মন্ত্রকেও নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি সূত্রের মতে, এ ছাড়া বেশ কিছু মন্ত্রকের কাজে আদৌ সন্তুষ্ট নয় দল। নির্বাচনের আগে ওই মন্ত্রকগুলিতেও নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই পদের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সংগঠনের দায়িত্বে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পদ হারাতে পারেন বেশ কিছু কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। বিজেপি সূত্রের মতে, দল খুব দ্রুত মন্ত্রিসভার রদবদল সেরে ফেলার পক্ষপাতী। দলের একটি অংশের মতে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তারপরেই মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করায় বর্তমানে রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে অস্থায়ী দায়িত্বে রয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল এল গণেশন। সূত্রের মতে, ওই পদেও খুব দ্রুত পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল পাঠাতে চাইছে শাসক শিবির। বিজেপি সূত্রের মতে, ধনখড়ের ধাঁচের কোনও ব্যক্তিত্বকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর পক্ষপাতী দল। ওই নিয়োগও দ্রুত সেরে ফেলতেচায় কেন্দ্র।