Mathura-Vrindavan

মথুরা-বৃন্দাবনের প্রসাদেও ভেজাল? তিরুপতি বিতর্কের মাঝেই উঠছে প্রশ্ন, যাচাই করতে চলছে নমুনা সংগ্রহ

মথুরা-বৃন্দাবনের মন্দিরগুলির প্রসাদের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব। বিতর্কের আবহে একাধিক মন্দির সংলগ্ন দোকান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করতে শুরু করেছে প্রশাসন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এ বার প্রশ্ন উঠল বৃন্দাবনের প্রসাদ নিয়েও। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বৃন্দাবনের প্রসাদের গুণগত মান নিয়ে। তাঁর সন্দেহ, বৃন্দাবনের প্যাঁড়ায় সঠিক গুণমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে না। এর জন্য উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকেই এক প্রকার কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে বিষয়টির উপর নজর দেন, সেই দাবিও জানিয়েছেন এসপি সাংসদ।

Advertisement

তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদ বিতর্কে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিলেন ডিম্পল। সেই সময়েই বৃন্দাবনের প্রসাদের মান নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। এমন অবস্থায় সব মন্দিরের প্রসাদ যাচাই করা প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন এসপি সাংসদ। উল্লেখ্য, বৃন্দাবনের প্রসাদী প্যাঁড়া নিয়ে এর আগেও স্থানীয় স্তরে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে প্যাঁড়া বানানোর সময় ভেজাল খোয়া ব্যবহার করার। এ বার তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কের মাঝে আবারও বৃন্দাবনের প্রসাদ নিয়ে প্রশ্ন উস্কে দিলেন ডিম্পল।

যদিও এই বিতর্কের আবহে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। সে রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরের প্রসাদের মান যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর গত দু’দিনে মথুরা, বৃন্দাবন এবং গোবর্ধনের একাধিক মন্দির সংলগ্ন দোকানগুলি থেকে প্রায় ১৩টি প্রসাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে সে রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা নিয়ামক দফতর (ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট)। তালিকায় রয়েছে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি, বাঁকে বিহারি মন্দির এবং দান ঘাটি মন্দির সংলগ্ন এলাকার দোকানগুলি। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার জানিয়েছেন, ওই নমুনাগুলির মান যাচাইয়ের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।

Advertisement

গত সপ্তাহেই তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। নিজের দাবির সমর্থনে গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্টও তুলে ধরেছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জগনের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। চন্দ্রবাবুকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে নিশানা করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন জগন। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। তিরুপতির প্রসাদ বিতর্ক নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement