তিরুপতি মন্দির। —ফাইল চিত্র।
তিরুপতি বেঙ্কটেশ মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠল অনিয়মের অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্তে এ বার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি ব্যবহার করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল দক্ষিণের এই রাজ্যটি। তার মধ্যেই অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।
চন্দ্রবাবুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) আগেই মন্দিরে ট্রাস্ট তিরুমালা দেবস্থানম্-এর সভাপতি ভুমানা করুণাকর রেড্ডির বিরুদ্ধে সবর হয়েছিল। শুধু তিনি একা নন, ট্রাস্টের প্রাক্তন কার্যনিবাহী অফিসার এভি রেড্ডির বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছিল তারা। অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে মন্দির কমিটিতে থেকে নানা রকম অনিয়ম করেছেন তাঁরা। তাঁদের জবাবদিহিরও দাবি জানিয়েছে টিডিপি।
সেই আবহেই এ বার অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী সিট গঠন করে অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দিলেন। চন্দ্রবাবু আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সমস্ত মন্দিরে ‘সাফাই’ অভিযান করা হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন মন্দির কমিটির অন্দরে যদি কোনও অনিয়ম থাকে, তা খুঁজে বার করে পদক্ষেপ করতে চান তিনি। এই অনিয়মের জন্য অন্ধ্রের পূর্ববর্তী ওয়াইএসআরসিপি সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন চন্দ্রবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তিরুমালাতে অনেক অপবিত্র বিষয় করা হয়েছে।’’ পুরো বিষয়টি গত পাঁচ বছরের মধ্যে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। চন্দ্রবাবুর কথায়, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআরসিপি প্রধান জগন্মোহন রেড্ডি তাঁর পছন্দের লোককে তিরুমালার ট্রাস্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন।
তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে গত বুধবারই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন চন্দ্রবাবু। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগনের সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘি-র সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি দাবি করেছিলেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস আগেই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ ব্যাপারে চিঠিও লেখেন জগন্মোহন। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন চন্দ্রবাবু।