নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ইদানীং সরকারি সভায় কিংবা দলীয় প্রচারসভায় প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা যায় ‘বিকশিত ভারত’ লব্জটি, যার সহজ তর্জমা করলে দাঁড়ায় উন্নত ভারত। এ বার ২০৪৭ সালের মধ্যে কী ভাবে ‘বিকশিত ভারতের’ পরিকল্পনা রচিত হবে, তা মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদী রবিবার বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়ে তোলা অগ্রাধিকারের বিষয়।”
রবিবার ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বক্তৃতা করেন মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবেরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বিকশিত ভারত’ ২৫ বছরের এমন একটি পরিকল্পনা, যা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শক্তির নিরিখে ভারতকে উন্নত বিশ্বে পরিণত করবে। একই সঙ্গে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং সুস্থায়ী অর্থনীতির বিকাশেও সহায়ক হবে এই পরিকল্পনা।
এই পরিকল্পনায় কী ভাবে লক্ষ্যের দিকে এগোনো হবে, তা স্থির করতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত গোটা দেশে ২৭০০টিরও বেশি ছোটবড় বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকগুলি থেকে উঠে আসা ৪৫০টি প্রস্তাব ভেবেচিন্তে দেখছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, রবিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী ‘বিকশিত ভারতের’ পরিকল্পনা সংক্রান্ত রূপরেখা তুলে ধরে জানান, ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য বাজেটে এক লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
আসন্ন লোকসভা ভোট নিয়েও মন্ত্রীদের পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। মন্ত্রিসভার সদস্যেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানুষের কাছে যান। জিতুন। তার পর আপনাদের সঙ্গে শীঘ্রই দেখা হবে।” একটি সূত্রের খবর, মোদী মন্ত্রীদের কোনও রকম বিবৃতি দেওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন।