টুইটার থেকে নেওয়া।
ক্রমাগত হারতে হারতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দীর্ণ কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র দিলেন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। আর তাতেই সুর বাঁধা হয়ে গেল রাজস্থানের উদয়পুরে তিন দিনের চিন্তন শিবিরের। সনিয়া বললেন, ‘‘আজ আমরা যা কিছু, সবই কংগ্রেস পার্টির জন্য। আজ সময় এসেছে সেই ঋণ শোধ করার।’’ পাশাপাশি তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপিকেও।
সনিয়া বলেন, ‘‘কংগ্রেস ঐতিহাসিক ভাবে দেশের কল্যাণের স্বার্থে কাজ করে এসেছে। আজ সেই দলের সামনে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। তার কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তার জন-বিরোধী নীতি।’’ সনিয়ার আহ্বান, ‘‘এই পরিস্থিতিতে দলকে প্রয়োজনীয় কিছু বদলের মধ্যে দিয়ে আরও সময়োপযোগী হয়ে উঠতে হবে।’’
তিন দিনের চিন্তন শিবিরে সাংগঠনিক সংস্কার নিয়ে বিশদে আলোচনা হবে, পরবর্তী কালে তা প্রয়োগ করা হবে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, পদাধিকারীরা পাঁচ বছরের বেশি কোনও পদে থাকতে পারবেন না। তার পর তিন বছরের ‘বিশ্রামের’ পর নতুন কোনও দায়িত্ব পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
এ ছাড়া কংগ্রেসে একটি সমীক্ষক দল থাকবে। তারা দৈনিক ভিত্তিতে দলের কর্মকাণ্ড এবং বিষয়ভিত্তিক অংশগ্রহণের বিষয়ে নেতৃত্বকে মতামত জানাতে থাকবে। প্রতিটি কমিটির অর্ধেক সদস্যের বয়স হবে ৫০-এর কম। দেশের প্রতি ২০টি বুথে একটি করে মণ্ডল কমিটি তৈরি হবে। প্রতি ব্লকে থাকবে পাঁচ থেকে ১০টি মণ্ডল কমিটি। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চিন্তন শিবিরে আলোচনা হওয়ার কথা। তবে কংগ্রেস কি এ বার পূর্ণ সময়ের সভাপতি পাবে? তা নিয়ে অবশ্য তিন দিনের শিবিরে আলোচনার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে জানা গিয়েছে। রবিবার শিবিরের শেষ দিনে সমাপ্তি ভাষণ দেবেন সনিয়া। তাঁর আগেই বক্তৃতা করার কথা রাহুল গাঁধীর।