সনিয়া গাঁধী।—ফাইল চিত্র।
এক দিকে ‘আইকন’ বাঁচানোর চেষ্টা। অন্য দিকে সংগঠন।
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দুই চেষ্টাই শুরু করলেন সনিয়া গাঁধী।
আগামী ২ অক্টোবর মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ। নরেন্দ্র মোদী নিজেকে গাঁধীর উত্তরসূরি হিসেবে তুলে ধরতে চান। স্বচ্ছ ভারতের লোগোতে তিনি গাঁধীর চশমা ব্যবহার করেছেন। সাবরমতী আশ্রমে গেলেই বসে যান চরকায় সুতো কাটতে। চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতবর্ষ, ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ৭৫তম বর্ষ উদ্যাপন করেছেন মহা সমারোহে। এ বার গাঁধীর সার্ধশতবর্ষে তিনি নামছেন প্লাস্টিক দূষণ ঠেকানোর আন্দোলনে। গাঁধী যে আসলে কংগ্রেস পরিবারে ছিলেন, তা কার্যত ভুলিয়েই দিতে চাইছেন মোদী। এই অবস্থায় নিজের ‘আইকন’ বাঁচাতে আজ কংগ্রেস জানিয়েছে, ২ অক্টোবর থেকে এক সপ্তাহ ধরে গাঁধীর সার্ধশতবর্ষ পালন করবে তারা। দেশের সর্বত্র কংগ্রেস নেতারা পদযাত্রায় বার হবেন।
২ অক্টোবর থেকেই দেশ জুড়ে পদযাত্রায় বের হওয়ার কথা ছিল রাহুল গাঁধীর। কিন্তু সে বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি।
পাশাপাশি, ছেলের ফেলে যাওয়া সংগঠনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে মাঠে নামতে হয়েছে সনিয়াকে। গতকাল হরিয়ানায় নতুন প্রদেশ সভাপতির নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। এ দিকে মধ্যপ্রদেশে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ নিয়ে বিবাদ চলছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ওই পদ চাইছেন। তাঁর শিবিরের নেতারা কমল নাথ-দিগ্বিজয় সিংহকে নিশানা করছেন। সনিয়া আজ মধ্যপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা দীপক বাবরিয়ার কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছেন। দীপক ভোপাল গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট দেবেন। শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুর পরে দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষপদ খালি পড়ে রয়েছে। এ দিকে আগামী বছরেই সেখানে বিধানসভা ভোট। তা নিয়েও আজ অজয় মাকেন-সহ দিল্লির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া। দিল্লির ভারপ্রাপ্ত নেতা পি সি চাকো জানান, দু’তিনদিনের মধ্যেই নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে।