ভারতের নির্বাচন নিয়ে মেটা কর্তা মার্ক জ়াকারবার্গের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে মেটা কর্তৃপক্ষকে তলবের পথে সংসদীয় কমিটি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
নির্বাচন নিয়ে মেটা কর্তা মার্ক জ়ুকেরবার্গের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে এ বার পদক্ষেপের পথে যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। ওই মন্তব্যের কারণে মেটা কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হতে পারে। এই সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। মঙ্গলবার তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ভুল তথ্যের জন্য তাঁর কমিটি মেটাকে তলব করবে। নিশিকান্তের বক্তব্য, কোনও গণতান্ত্রিক দেশের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ালে সেটি দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে। এই ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ভারতের সংসদের কাছে এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানিয়েছেন নিশিকান্ত।
বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার। সে দিন একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকারের সময় ভারতের এ বছরের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ভুল মন্তব্য করে বসেন মেটা কর্তা জ়ুকেরবার্গ। তাঁর মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারের উপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গিয়েছে। ২০২৪ সালে যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই সময়েই তিনি বলেন, “২০২৪ সালে ছিল বড় বড় নির্বাচনের বছর। ভারতের মতো বিভিন্ন দেশে নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বস্তুত ক্ষমতাসীন দলগুলি হেরে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির জন্যই হোক বা করোনা মোকাবিলায় আর্থিক নীতির জন্য হোক, কিংবা করোনা মোকাবিলার পদ্ধতির কারণেই হোক— বিশ্বব্যাপী একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান করা যায়।”
জ়ুকেরবার্গের ওই মন্তব্যে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ‘ভুল সংশোধন’ করে দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “জ়ুকেরবার্গ দাবি করেছেন করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের ২০২৪ সালের নির্বাচন-সহ বেশির ভাগ দেশে ক্ষমতাসীন সরকার হেরে গিয়েছে। এটি তথ্যগত ভাবে ভুল।” মেটা কর্তার সেই ‘তত্ত্ব’ উড়িয়ে দিয়ে অশ্বিনী লেখেন, ‘‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছে। মোদীজি টানা তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নজির গড়েছেন। জ়ুকেরবার্গের মতো ব্যক্তির এমন ভুল তথ্য দেওয়ার ঘটনা হতাশাজনক।’’