দিল্লিতে সনিয়া গাঁধী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
গাঁধীজয়ন্তীতে বিজেপি এবং সঙ্ঘকে একহাত নিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গাঁধী। মিথ্যার রাজনীতিকে যারা প্রশ্রয় দেয়, তাদের পক্ষে মহাত্মা গাঁধীর আদর্শ বোঝা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার ১৫০তম গাঁধীজয়ন্তীতে দিল্লির রাজঘাটে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে প্রথমে বক্তৃতা করেন সনিয়া। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে ভারতে যা ঘটছে, তা দেখলে অত্যন্ত ব্যথিত হতেন মহাত্মা। মিথ্যার রাজনীতিকে যারা প্রশ্রয় দেন, তাঁদের পক্ষে গাঁধীর অহিংস দর্শন বোঝা সম্ভব নয়। যাঁরা নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করেন, তারা গাঁধীর আত্মত্যাগ বুঝবেন কী করে?’’
বিজেপি দেশের শাসনব্যবস্থায় গৈরিকীকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেও একাধিক বার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এ দিন একই সুর ধরা পড়ে সনিয়ার গলায়। তিনি বলেন, ‘‘ভারত এবং গাঁধী একে অপরের সমার্থক। কিন্তু কিছু মানুষ চান, আরএসএস এবং ভারত একে অপরের সমার্থক হয়ে উঠুক।’’
আরও পড়ুন: এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স: মাথা নত করবে না দিল্লি, ওয়াশিংটনে স্পষ্ট বার্তা জয়শঙ্করের
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অর্থ জোগানের পিছনে দিল্লির পাক দূতাবাস? এনআইএ-র তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য
এ দিন রাজঘাটের ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনিও। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘সত্যের পথ অনুসরণ করতে বলেছিলেন গাঁধীজি। বিজেপি আগে তা করে দেখাক, তার পর না হয় মহাত্মা গাঁধীকে নিয়ে কথা বলবে।’’
রাজঘাটে সভা সেরে এ দিন সংসদভবনের সেন্ট্রাল হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্য রাজনীতিকদের সঙ্গে মহাত্মা গাঁধীর উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সনিয়া গাঁধী। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে দলের দফতর থেকে রাজঘাট পর্যন্ত পদযাত্রা করেন রাহুল গাঁধী। আগামী কাল লখনউতেও বিশেষ পদযাত্রার আয়োজন করছে কংগ্রেস। তাতে অংশ নেবেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।