(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধী এবং (ডান দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। অধিবেশন শুরুর ঠিক আগেই লোকসভায় বেশ খানিকক্ষণ কথা বলতে দেখা গেল কংগ্রেসনেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সনিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরে সনিয়া বলেন, “ভাল আছি।” বুধবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠকে সেরে দিল্লি ফেরার পথে ভোপালে জরুরি অবতরণ করে সনিয়ার বিমান। পরে তা নিয়ে একটি ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন পুত্র রাহুল। এর পরই বৃস্পতিবার সনিয়ার খোঁজ খবর নেন মোদী।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলের বৈঠক শেষে ফেরার সময় খারাপ আবহাওয়ার দরুণ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে জরুরি অবতরণ করে সনিয়া এবং রাহুলের বিমান। অবতরণের পর বিমানের মধ্যেই শাল গায়ে অক্সিজেন মাস্ক পরিহিত সনিয়ার বসে থাকার ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন রাহুল। তার পরই বৃহস্পতিবার সংসদে সনিয়ার স্বাস্থ্যের কথা জিজ্ঞেস করেন মোদী। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর ঠিক আগেই মোদী এবং সনিয়ার এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথন হয়। অধিবেশনের প্রথম দিনে নেতাদের একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানোর রেওয়াজ রয়েছে। এই কথোপকথনের বিষয়ে কংগ্রেসের সাংসদ তথা লোক সভায় বিরোধী দলের নেতা অধীররঞ্জন চোধুরী দাবি করেন, সনিয়া গান্ধী সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মণিপুর হিংসা নিয়ে আলোচনা করার দাবি করেছেন।
মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনার ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) প্রকাশ্যে আসার পরে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নীরবতা ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মণিপুরে দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘মণিপুরের ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনার জন্য দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।’’ মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভের জেরে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের সম্মিলিত বিক্ষোভের জেরে আগামী দিনগুলিতেও ভন্ডুল হতে পারে সভার কাজ।