সনিয়া গাঁধী। ফাইল চিত্র।
‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের নিয়ে কংগ্রেসের বৈঠক শুরু হয়েছে শনিবার। আজ সকালেই ১০ জনপথে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে যান গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, বিএস হুডা, অম্বিকা সোনি, পি চিদম্বরমের মতো দলের প্রবীণ এবং শীর্ষস্থানীয় নেতারা। প্রসঙ্গত, যে ২৩ জন নেতা দলের নেতৃত্ব ও ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই এই বৈঠকে হাজির হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেসের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে একটা টানাপড়েন চলছে। শুধু তাই নয়, একের পর এক রাজ্যে দলের শোচনীয় ফল নিয়েও সরব হয়েছেন বহু নেতা। কেউ কেউ আবার দলের পরিকাঠামো বদলের জন্য সওয়ালও করেছেন। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর অবশেষে সেই সব সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী হলেন খোদ সনিয়া গাঁধী। পর পর ১০ দিন ধরে বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। রাজনৈতিক মহলের মতে, এখান থেকেই সঙ্কট মেটানোর এবং দলের নেতাদের ‘মানভঞ্জনের’ কাজটা শুরু করে ফের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন সনিয়া।
শুধু তাই নয়, নেতৃত্ব নিয়ে যে দাবি উঠছিল, এই বৈঠকে তারও একটা সুরাহার চেষ্টা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন কংগ্রেস সভাপতি বেছে নেওয়ার কাজ এখান থেকেই শুরু হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবারই কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা ঐক্যের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা একটাই পরিবার। সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।” তিনি আরও বলেন, “দলের নতুন সভাপতি বাছার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। সকলে মিলেই সেরা নেতাকে বেছে নেবেন।”
পাশাপাশি সুরজেওয়ালা এটাও জানিয়েছেন, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ৯৯.৯৯ শতাংশ নেতাই রাহুল গাঁধীকে তাঁদের নেতা হিসেবে বেছে নেবেন। মোদী সরকারকে টক্কর দেওয়ার জন্য তিনিই আদর্শ নেতা বলে দাবি সুরজেওয়ালার। জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা হলে কি ফের দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে রাহুলের হাতে। পাশাপাশি, এই বৈঠক দলকে কোনও দিশা দেখাতে পারে কি না তা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।