ফাইল ছবি
গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, গুজরাত ও অসমের বিজেপির সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিলিত ষড়যন্ত্র’ করেছিল। আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণীর অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কিছু গডসে-ভক্ত’ তাঁর নামে অসমে এফআইআর করিয়েছিলেন।
অসমের এক মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে জিগ্নেশের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল। জিগ্নেশের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বরপেটা দায়রা আদালতের বিচারক অপরেশ চক্রবর্তী লিখেছিলেন, পুলিশের ওই মামলা ‘ভুয়ো’। আজ সেই রায়কে হাতিয়ার করে জিগ্নেশ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেও, গৌহাটি হাই কোর্ট দায়রা আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস বরুয়ার মত, দায়রা আদালত পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই মামলাকে ভুয়ো বলে রায় দিয়েছে।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে টুইট করার জন্য অসমে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। অসম পুলিশ তাঁকে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করে অসমে নিয়ে গিয়ে জেলে পোরে। তারপরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। বরপেটা দায়রা আদালত বলছিল, জিগ্নেশকে লম্বা সময় আটকে রাখার উদ্দেশ্যেই ‘ভুয়ো’ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। জিগ্নেশের জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে ওই মহিলা এসআই হাই কোর্টেরদ্বারস্থ হতে চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে ফাইল পাঠানো হয়। হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল। বিশেষ আবেদনের ভিত্তিতে আজই শুনানির পরে হাই কোর্ট দায়রা আদালতের মন্তব্যে স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে জিগ্নেশের জামিনের আবেদন বহাল থাকছে।
জিগ্নেশের অভিযোগ, মহিলা পুলিশকর্মীর উপরে চাপ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে পুলিশের গাড়িতে মহিলাকে তাঁর পাশে বসানো হয়েছিল। একে ‘৫৬ ইঞ্চি ছাতির কাপুরুষতা’ তকমা দিয়েছেন জিগ্নেশ। তাঁর প্রশ্ন, গুজরাতে ২২টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে না কেন? আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত মুন্দ্রা বন্দরে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকার ড্রাগ ধরা পড়েছে। আদানিকে কেন জেরা করা হচ্ছে না?
দলিত নেতা জিগ্নেশের হুঁশিয়ারি, তাঁকে হেনস্থা করতে চেয়ে কোনও লাভ হবে না। ১ জুন তিনি রাস্তায় নেমে এই দাবিত গুজরাত বন্ধ করবেন। ‘পুষ্পা’ ছবির অধুনা জনপ্রিয় সংলাপ আউড়ে জিগ্নেশের মন্তব্য, ‘‘ফ্লাওয়ার নহি, ফায়ার হ্যায় ম্যায়, ঝুকেগা নহি।’’