প্রতীকী চিত্র
৭ মাসে ৭ বার বিক্রি। ছত্তীসগঢ়ের তরুণীকে বারবার নির্যাতনের ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ় থেকে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার পর তদন্তে গতি আসে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় ৩ রাজ্যের ৮ বাসিন্দাকে।
ঘটনা প্রথম সামনে আসে ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা ওই তরুণী অপহৃত হওয়ার পর। পেশায় কৃষক বাবাকে মাঠের কাজে সাহায্য করতেন ওই তরুণী। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন কাজের সন্ধান করতে। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। পরিবার পুলিশে অভিযোগ করে জানায়, অপহরণকারীরা বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করে। না হলে মেয়েকে হত্যা করবে বলে জানায় তারা।
পরে পুলিশের তদন্তে জানা যায়, কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে মধ্যপ্রদেশে যে আত্মীয়রা ওই তরুণীকে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরাই পরে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তাঁকে। তারপর সেই ক্রেতা আবার ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তরুণীকে। তারপর বাবলু কুশাওয়াহ নামে এক বিশেষ ভাবে সক্ষম যুবকের কাছে তরুণীকে জোর করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর পরও ৪ বার বিক্রি করা হয় তাঁকে।পুলিশ জানিয়েছে, মোট ৭ মাসের ব্যবধানে ৭ বার বিক্রি করা হয় ওই তরুণীকে। এই দীর্ঘ যন্ত্রণা ভোগ করতে না পেরে গত সেপ্টেম্বরে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী।
পুলিশের সন্দেহ, এই নারী পাচারের ঘটনাটি হিমশৈলের চূ়ড়া মাত্র। ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশের একাধিক আদিবাসী গ্রাম থেকে নিয়মিত নারী পাচারের ঘটনা ঘটছে। সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।