হিংসায় কারও ভাল হয় না, বললেন মোহন ভাগবত। ফাইল ছবি।
সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের দিকেই রাম নবমী থেকে হনুমান জয়ন্তীতে সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ। অথচ সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের মুখেই শোনা গেল অহিংসার কথা। রাম নবমী, হনুমান জয়ন্তীর সময়ে দিল্লি ও বিজেপি শাসিত গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে হিংসার পরে মোহন ভাগবত বললেন, ‘‘হিংসায় কারও ভাল হয় না। যে সমাজের হিংসা প্রিয়, তারা শেষের দিন গুনছে।’’
বৃহস্পতিবার রাতে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে মোহন ভাগবতের এই মন্তব্যের পরে প্রশ্ন উঠেছে, সরসঙ্ঘচালক কি সংখ্যালঘু সমাজকেই সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী করে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন? না কি নিছক কথার কথা হিসেবে অহিংসার বুলি আউড়াচ্ছেন?
মোহন ভাগবত বলেছেন, ‘‘হিংসায় কারও ভাল হয় না। যে সব সমাজের হিংসা প্রিয়, তারা নিজেদের অন্তিম দিন গুনছে। আমাদের সবসময়ই অহিংস ও শান্তিপ্রিয় হতে হবে। এর জন্য সমস্ত সম্প্রদায়কে একসঙ্গে আনা ও মানবতা রক্ষা করা জরুরি। আমাদের সবাইকে এই কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’’
রাম নবমী, হনুমান জয়ন্তীতে হিংসার পরে প্রাক্তন আমলারা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিংসা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। আজ ভাগবতকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা মানিকম টেগোর বলেছেন, ‘‘যে সংগঠন লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়, ছুরি চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়, গরিবদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়, তারাই আবার অহিংসার কথা বলে।’’ মানিকমের প্রশ্ন, ‘‘আরএসএসওয়ালাদের এই নাটকের কী দরকার?’’
কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ভাগবত দু’সপ্তাহ আগেই বলেছেন, ভারত শান্তির কথা বলবে, কিন্তু হাতে লাঠি ধরা থাকবে। কারণ সবাই ক্ষমতার ভাষাই বোঝে। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত ভাগবতের মন্তব্যকে স্বাগত জানালেও সিপিআই নেতা অতুল অঞ্জনের বক্তব্য, ‘‘ভাগবতেরা মুখে এক কথা বলছেন। বাস্তবে আরএসএস ক্যাডারাই হিংসায় জড়িত।’’