নিক নাইট। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের নিয়ে আলোচনা থামছে না। হর্ষ ভোগলে এবং সাইমন ডুলের পর এ বার চর্চা নিক নাইটকে নিয়ে। ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের সমালোচনা করলেন গুজরাতের ক্রিকেটার সাই কিশোর। কলকাতা নাইট রাইডার্স-গুজরাত টাইটান্স ম্যাচের পর আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার রশিদ খানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নাইট। সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে দু’কথা শুনিয়ে দিয়েছেন কিশোর।
কিশোরের রাগের কারণ, নাইট গুজরাত টাইটান্সের রশিদ খানের সমালোচনা করেছিলেন। কিশোরের মতে, গুজরাতের সাফল্যের অন্যতম বড় কারণ রশিদের ফর্মে ফেরা। তিনি বলেছেন, ‘‘রশিদকে ফর্মে ফিরতে দেখে দারুণ লাগছে। ওকে নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে কোনও উদ্বেগ ছিল না। রশিদ বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার। আমার মনে হয়, এই ফর্ম্যাটে ওর উইকেটই সবচেয়ে বেশি। ভুলও হতে পারি। পরিসংখ্যান আমার খুব একটা মনে থাকে। অন্যতম সফল তো নিশ্চিত ভাবেই। রশিদের দক্ষতা নিয়ে কার সংশয় থাকবে!’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব সময় উইকেট পাওয়ার জন্য ঝাঁপালে হয় না। অনেক সময় রান আটকানোর দিকেও নজর দিতে হয়। প্রতিপক্ষকে দলের রানের থেকে কমে আটকে রাখাই আসল কথা। টেস্ট বা লাল বলের ক্রিকেটের মতো নয়। লাল বলের ক্রিকেটে সব সময় আউটের সুযোগ তৈরির করি আমরা। এখানে উইকেট পাওয়াটা বাড়তি পাওনা। রশিদ অবশ্য আবার উইকেট পেতে শুরু করেছে। চেনা ফর্মে দেখা যাচ্ছে। রশিদের ছন্দে ফেরা গোটা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।’’
এর পরেই রশিদের সমালোচক ধারাভাষ্যকার নাইটকে এক হাত নিয়েছেন কিশোর। বলেছেন, ‘‘কে কী বলেছেন, জানি না। আমি জানি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রশিদই বিশ্বের সেরা বোলার। ওর ক্রিকেটীয় দক্ষতা নিয়ে আমাদের দলে কারও সংশয় নেই।’’ কারও নাম না করলেও কিশোরের বক্তব্যে পরিষ্কার, তিনি নাইটকে লক্ষ্য করেই কথাগুলো বলেছেন। কারণ, নাইটই রশিদের সমালোচনা করেছিলেন।
কেকেআরের বিরুদ্ধে রশিদ ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। তবে এ বারের আইপিএলে চেনা ফর্মে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। আটটি ম্যাচে ছয় উইকেট পেয়েছেন। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৯.২৬ রান। গত মরসুমেও ভাল ফর্মে ছিলেন না। ২০২৪ সালের আইপিএলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি আফগান অলরাউন্ডার। ১২টি ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। ওভারপ্রতি খরচ করেন ৮.৪ রান।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য জস বাটলারকেও কৃতিত্ব দিলেন কিশোর। শুভমন গিল এবং সাই সুদর্শনের ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ইডেনের ২২ গজ ব্যাট করার জন্য খুব সহজ ছিল না। কিশোরের দাবি, তাঁর দলের প্রথম ব্যাটারের খেলা দেখে তা বোঝা যায়নি। তিনি বলেছেন, ‘‘শুরুতে সুদর্শন এবং শুভমন কী সহজে ব্যাটিং করল! পরে বাটলারও সাবলীল ভাবে খেলল। অথচ পিচ ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। ওদের খেলা দেখে সেটা বোঝাই গেল না।’’