দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে বিপত্তি! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঁচু সেতু থেকে সোজা নদীর চরে পড়ল গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল দুই শিশু-সহ একই পরিবারের আট সদস্যের। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় আরও ছ’জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদেরকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ দামোহের নোহাটা থানা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সে সময় সিমরি গ্রামের কাছে সুনার নদীর উপর সেতু দিয়ে যাচ্ছিল গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন একই পরিবারের ১৫ জন সদস্য। তখনই আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে গাড়িটি। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িটি সেতু থেকে নীচে শুষ্ক নদীবক্ষে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়িটি থেকে কোনও মতে বের করা হয় ভিতরে থাকা যাত্রীদের। তত ক্ষণে অবশ্য আট জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন একই পরিবারের পাঁচ মহিলা এবং দুই শিশু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির আরোহীরা সকলেই মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তদন্তকারী আধিকারিক অরবিন্দ সিংহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘গাড়ির ছয় আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আট এবং ১০ বছর বয়সি দু’টি শিশুকে দামোহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারাও।’’ আহত বাকি যাত্রীদের উন্নততর চিকিৎসার জন্য বিশেষ ‘গ্রিন করিডোর’ তৈরি করে দ্রুত জব্বলপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য জাবেরা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্থানীয় এক ‘বৈদ্য’-র কাছ থেকে কিছু ভেষজ ওষধি নিতে বেরিয়েছিল ওই পরিবার। বৈদ্য দেখানোর পর বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ফেরার পথেই দুর্ঘটনা।