ফাইল চিত্র।
প্রত্যেকটি বৈবাহিক সম্পর্কেই হিংসার ঘটনা ঘটে ও প্রত্যেক পুরুষই ধর্ষক, এমন কথা বলা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করলেন স্মৃতি ইরানি।
সম্প্রতি বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিতে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েক জন আবেদনকারী।
আজ রাজ্যসভায় এই বিষয়ে সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বমের প্রশ্নের জবাব দেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বিনয় জানতে চান, গার্হ্যস্থ হিংসা আইনের ৩ নম্বর ধারায় বর্ণিত গার্হ্যস্থ হিংসার সংজ্ঞা ও ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে বর্ণিত ধর্ষণের সংজ্ঞা কেন্দ্র ফের খতিয়ে দেখছে কি না। স্মৃতি বলেন, ‘‘এ দেশে প্রতিটি বৈবাহিক সম্পর্কে হিংসার ঘটনা ঘটে ও প্রত্যেক পুরুষ ধর্ষক, এমন কথা সংসদে বলা ঠিক নয়।’’ স্মৃতি জানান, রাজ্যসভার বিধি অনুযায়ী বিচারাধীন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয়। তবে কেন্দ্র রাজ্যগুলির সহায়তায় দেশে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। স্মৃতি জানান, দেশে ৩০টি হেল্পলাইন চালু রয়েছে। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ৬৬ লক্ষ মহিলা উপকৃত হয়েছেন। এ ছাড়াও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রুখতে তৈরি ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’-এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন ৫ লক্ষ মহিলা।
বিনয় জানান, তিনি কখনওই সব পুরুষকে ধর্ষক বলতে চাননি। তবে বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্র সংগ্রহ করে সংসদে পেশ করতে পারে কি না তা জানতে চান তিনি। স্মৃতি বলেন, ‘‘মাননীয় সদস্য চাইছেন, কেন্দ্র রাজ্যগুলির থেকে তথ্য সংগ্রহ করুক। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী
আজই এই বিষয়ে সংসদে কেন্দ্র রাজ্যগুলির হয়ে কোনও সুপারিশ করতে পারে না।’’
বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী জানতে চান, কেন্দ্র কি বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিতে চায়? তাঁর মতে, এর ফলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানই শেষ হয়ে যেতে পারে। স্ত্রী শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দিয়েছিলেন কি না তা প্রমাণ করা কঠিন।
স্মৃতি বলেন, ‘‘বিষয়টি বিচারাধীন। তাই আমি বিশদ তথ্য জানাতে পারব না। তবে কেউ যদি জানতে চান তবে ১৭২তম আইন কমিশনের রিপোর্ট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ২০১৩ সালের রিপোর্ট পড়ে দেখতে পারেন। তাতে এই বিষয়ের প্রতিফলন রয়েছে।’’
ডিএমকে সাংসদ এম মহম্মদ আবদুল্লা জানতে চান, সরকার গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে স্কুল-কলেজ স্তর থেকে প্রচার চালাতে চায় কি না। স্মৃতি জানান, ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের অধীনে প্রতি জেলার অফিসারের মাধ্যমে মহিলা বিশেষত তরুণীদের মধ্যে সাংবিধানিক অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ চলছে। এ ক্ষেত্রে সাংসদেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে
পারেন। সংবাদ সংস্থা