Hathras Stampede Incident

হাথরসে ‘সৎসঙ্গে’ মৃত্যু: জেলা প্রশাসনের ছয় আধিকারিক সাসপেন্ড, উঠল গাফিলতির অভিযোগ

হাথরসকাণ্ডের তদন্তভার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর হাতে দেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার সকালে সিট হাথরসের ঘটনার একটি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:০১
Share:

হাসরসের পদপিষ্টের ঘটনা। — ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ‘সৎসঙ্গে’ পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উঠল অবহেলার অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের ছ’জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাঁদের মধ্যে এক জন মহকুমা শাসকও রয়েছেন।

Advertisement

হাথরসকাণ্ডের তদন্তভার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর হাতে দেন আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার সকালে সিট হাথরসের ঘটনার একটি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ওই মহকুমা শাসকের গাফিলতির কথা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি ‘সৎসঙ্গে’র অনুমতি দেওয়ার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি। এমনকি, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তাদেরও জানাননি। মহকুমা শাসক ছাড়া একজন সার্কল অফিসারকেও সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাঁরা নিলম্বিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আগরা) অনুপম কুলশ্রেষ্ঠ এবং আলিগড়ের ডিভিশনাল কমিশনার চৈত্রা ভি-র নেতৃত্বে এই তদন্ত রিপোর্ট তৈরি হয়। পুলিশের তদন্তকারী দলের সদস্যেরা ১২৮ জন প্রত্যক্ষদর্শী এবং দুর্ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের দেওয়া রিপোর্টে স্পষ্টই বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে হাথরসে। গত ২ জুলাই হাথরসের মুগলগঢ়হীতে একটি ‘সৎসঙ্গে’র আয়োজন করা হয়েছিল। স্বঘোষিত ধর্মগুরু সূরজ পাল তথা ভোলে বাবা ওই ‘সৎসঙ্গে’র ডাক দিয়েছিলেন। অভিযোগ, ‘সৎসঙ্গ’ শেষ হওয়ার পর ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এমনকি, ভোলে বাবার পায়ের ধুলো নেওয়ার জন্য ‘মারামারি’ লেগে যায় সকলের মধ্যে। সেই থেকেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও আতঙ্কিত মৃত এবং আহতের পরিবার। ঘটনার পর পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। সেই এফআইআইরে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘সৎসঙ্গে’ ৮০ হাজার ভক্ত উপস্থিত থাকবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু দুর্ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আড়াই লক্ষ মানুষ। ‘সৎসঙ্গের’ মূল উদ্যোক্তা দেবপ্রকাশ মধুরকর-সহ মোট ন’জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হলেও অধরাই রয়ে গিয়েছেন ভোলে বাবা। এমনকি, এফআইআরেও তাঁর নাম নেই। তবে ঘটনার পর থেকে ভোলে বাবার প্রতি ক্ষোভ দেখা গিয়েছে তাঁর ভক্তদের মধ্যেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement