লঙডিংয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার অস্ত্র। ছবি: পিটিআই।
অরুণাচল প্রদেশের লঙডিং জেলায় শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিদের তালিকায় রয়েছে এনএনসিএন(আইএম) নেতা সোমনয়াম টাংখুল। গত বছর অরুণাচলের তিরাপ জেলার প্রভাবশালী নেতা তথা এনপিপি বিধায়ক তিরং আবো খুনের অন্যতম অভিযুক্ত ছিল এই সোমনয়াম। সেনা এবং অরুণাচল পুলিশের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে।
নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে লঙডিংয়ের নিগনু এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল সেনা, অসম রাইফেলস এবং অসম পুলিশের যৌথ বাহিনী। তিরাপ জেলার সীমানার জঙ্গলে প্রায় দু’ঘণ্টা গুলির লড়াইয়ে সোমনয়াম-সহ ছ’জন এনএসসিএন(আইএম) জঙ্গি নিহত হয়। আহত হন অসম রাইফেলসের এক জওয়ানও। লঙডিংয়ের পুলিশ সুপার ভরত রেড্ডি জানিয়েছেন, নিহতদের থেকে চারটি একে সিরিজের রাইফেল, দু’টি এমকিউ-৮১ রাইফেল, আইইডি-সহ অন্য বিস্ফোরক এবং হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে।
এনএসসিএন(আইএম)-এর ‘ক্যাপ্টেন’ সোমনয়াম ওই জঙ্গি সংগঠনের প্রখম সারির নেতা রকোয়াং ওরফে অবসোলম টাংখুলের ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত। নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অরুণাচলে সে নানা অপরাধ ও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অরুণাচল পুলিশের মুখপাত্র নভদীপ সিংহ ব্রার জানিয়েছেন। গত বছর মে মাসে রংকোয়াংয়ের নির্দেশেই সোনওয়াম এনপিপি বিধায়ক এবং তাঁর ছেলে-সহ ১১ জনকে খুন করেছিল বলে পুলিশ মুখপাত্রের দাবি।
আরও পড়ুন: স্টেট ব্যাঙ্কের জাল ব্রাঞ্চ খুলতে গিয়ে পাকড়াও তামিলনাড়ুর তরুণ
আরেক নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন(খাপলাং)-এর সঙ্গে কয়েক বছরে একাধিকবার নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আইএম-গোষ্ঠী ২০১৫ থেকে কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সামিল। যদিও চলতি বছরের গোড়ায় সংগঠনের একটি গোষ্ঠী অভিযোগ তুলেছিল, নাগা শান্তি চুক্তির শর্তগুলি চুড়ান্ত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: কেরলে সোনা পাচারকাণ্ডে স্বপ্না সুরেশকে গ্রেফতার করল এনআইএ