সিকিম এবং চিন অধিকৃত তিব্বতের নাথু লা সীমান্ত। ফাইল চিত্র।
সেবক-রংপোর সীমা ছাড়িয়ে এ বার হিমালয় ঘেরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পৌঁছে যাবে ভারতীয় রেল। সিকিমের নাথু লায়। চিন অধিকৃত তিব্বতের দোরগোড়ায়। দীর্ঘ দিনের গয়ংগচ্ছ মনোভাব ছেড়ে চিন সীমান্তে জরুরি ভিত্তিতে পরিকাঠামো নির্মাণ এবং উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারই অন্যতম অংশ এই রেলপথ।
আগামী বছরের মধ্যেই উত্তরবঙ্গের সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত নির্মীয়মাণ রেলপথের কাজ শেষ হবে। ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথে থাকবে ৫টি স্টেশন। তার মধ্যে অন্যতম, উত্তরবঙ্গের তিস্তাবাজারের ভূগর্ভস্থ স্টেশন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই সেবক-রংপো রেলপথের সীমা নাথু লা পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা হবে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও বছরভর চালু থাকবে এই রেলপথ।
২০১৯ সালে সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শুরু করেছিল রেল মন্ত্রক। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জিএম অংশুল গুপ্ত জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেবক-রংপো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। কিন্তু পাহাড় চিরে যাওয়া ওই রেলপথের জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি এবং লাইন পাতার কাজ যথেষ্ট সময়সাধ্য। তাই সময়সীমা পিছিয়ে গিয়েছে। নাথু লা সীমান্ত পর্যন্ত এই রেলপথ সম্প্রসারিত হলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা, অস্ত্র এবং রসদ সরবরাহ সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৮ বছর আগে চিন সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে মোদী সরকার ‘বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট’ (ডিপিআর) প্রস্তুত করা শুরু করেছিল। যুক্তি ছিল, সীমান্তের ওপারে চিন যখন তাদের পরিকাঠামোকে অত্যাধুনিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, তখন ভারতের পক্ষে পাঁচ দশকের পুরনো নীতি (সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় সীমান্তে সড়ক এবং অন্যান্য পরিকাঠামো অনুন্নত রাখা) আঁকড়ে থাকলে চলবে না। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের এলএসি-তে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের ঘটনার পর সীমান্ত পরিকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায় বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।