পথ জুড়ে রাখা বিজেপি নেতার গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে মৃত্যু রোগীর। — ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
পথ আটকে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি নেতার গাড়ি। পিছনে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স। নেতার গাড়ি সরল না। অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হল রোগীর। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের। সেই ঘটনার বলে দাবি করে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যেখানে আঙুল উঁচিয়ে বিজেপি নেতা উমেশ মিশ্রকে ধমকাতে দেখা যাচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স চালককে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
শনিবার বুকে ব্যথা নিয়ে সীতাপুরের জেলা সরকারি হাসপাতালে আসেন জনৈক সুরেশ চন্দ। চিকিৎসকরা তাঁকে দ্রুত রাজধানী লখনউ নিয়ে যেতে বলেন। জানান, সুরেশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই মতো তড়িঘড়ি সুরেশকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। অ্যাম্বুল্যান্স রওনা দেয় লখনউয়ের হাসপাতালের দিকে। সীতাপুরের হাসপাতালের বাইরে পথ জুড়ে একটি সাদা গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন চালক। হর্ন দেন একাধিক বার কিন্তু গাড়ির চালকের দেখা নেই। অধৈর্য হয়ে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন চালক। কার গাড়ি এ ভাবে রাখা তা নিয়ে খোঁজখবর করতে শুরু করেন। এ ভাবেই কেটে যায় মহামূল্যবান ৩০ মিনিট। এ দিকে অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়েই মৃত্যু হয় সুরেশের। এক সময় ফিরে আসেন বিজেপি নেতা। আর এসেই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের উপর পাল্টা হম্বিতম্বি করতে শুরু করেন।
গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করেন আশপাশে উপস্থিত লোকজন। তাতে দেখা যায়, নিজেকে বিজেপি নেতা তথা ব্লকের বিজেপির প্রধান রামকিঙ্কর পাণ্ডের ভাই বলে দাবি করছেন ওই ব্যক্তি। মৃতের পরিজনদের হুমকির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বেশি বাড়াবাড়ি করলে পুলিশকে দিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ‘ফিনিশ’ করে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতা দাবি করেন, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার তাঁর মতামত নিয়ে চলেন। তিনি নিজেও বিজেপি করেন, এবং সকলে তাঁর নাম শুনলেই ভয় পেয়ে যায়, এমনই দাবি শোনা যায় অভিযুক্ত নেতার মুখে।
যখন বিজেপি নেতা আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিচ্ছেন সদ্য মৃত রোগীর পরিজনদের, সেই সময় আশপাশে কয়েক জন পুলিশকর্মীকেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু স্বঘোষিত বিজেপি নেতাকে আটক করা তো দূর অস্ত, নিরস্ত করতেও দেখা যায়নি। হুমকি দেওয়ার পর গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন বিজেপি নেতা। আর তাঁর খোঁজ মেলেনি।