২০১৭ এবং ২০২১ সালেও অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি এলাকার নাম পরিবর্তন করে দু’টি তালিকা প্রকাশ করেছিল চিন। ফাইল চিত্র ।
চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে একেবারেই মান্যতা দিতে রাজি নয় ভারত। দিল্লির তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হল সে কথা। পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দেওয়া হল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই যে কেউ নাম পরিবর্তন করলে তাতে বাস্তব কোনও দিন বদলাবে না বলেও দাবি কেন্দ্রের।
এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘আমরা চিনের রিপোর্ট দেখেছি। চিন প্রথম বার এই চেষ্টা করছে না। আমরা এই নামকরণকে মান্যতা দিতে রাজি নই। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। নাম পরিবর্তন করা হলেও তাতে বাস্তব পরিবর্তন হবে না।’’
একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সোমবার বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়, অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নতুন করে নামকরণ করা হয়েছে। এমনকি, অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরের কাছাকাছি একটি শহরের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। চিনের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে বলেছে, “রবিবার অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আনুষ্ঠানিক ভাবে ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে দু’টি বিস্তীর্ণ ভূমি এলাকা, দু’টি আবাসিক এলাকা, দু’টি নদী এবং পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ।’’
এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য অরুণাচল প্রদেশের অনেকগুলি এলাকার ‘নাম পরিবর্তন’-এর চেষ্টা করল চিন। দীর্ঘ দিন ধরে অরুণাচল প্রদেশের এই অংশকে ‘জাংনান’ বা ‘তিব্বতের দক্ষিণ অংশ’ বলে দাবি করে আসছে চিন সরকার।
২০১৭ এবং ২০২১ সালেও অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি এলাকার নাম পরিবর্তন করে দু’টি তালিকা প্রকাশ করেছিল চিন। ২০১৭ সালে ছ’টি এলাকার নাম পরিবর্তন করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২১ সালে ১৫টি এলাকার নাম পরিবর্তন করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু দু’বারই ভারত সরকার চিনের নাম পরিবর্তনের চেষ্টাকে বিফলে পাঠিয়েছিল।
ইতিমধ্যেই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বার বার সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত এবং চিন। দু’দেশের মধ্যে বহু বার আলাপ-আলোচনায় বসেও বিশেষ লাভ হয়নি। সেই আবহেই চিনের ভারতীয় ভূখণ্ডের নাম বদলানোর চেষ্টা দু’দেশের মধ্যে নতুন করে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।