গান্ধীনগরে ‘ডিফেন্স এক্সপো’তে রাজনাথ এবং মোদী। ছবি: পিটিআই।
আমদানি নয়, উৎপাদন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক বছর পরেই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের সংস্থানে ভারতের পুরনো নীতি বদলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বৃহস্পতিবার মোদীর রাজ্য গুজরাতে গিয়ে জানালেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ২,২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা) মূল্যের অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
গান্ধীনগরে ‘ডিফেন্স এক্সপো’ কর্মসূচিতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় রাজনাথ বলেন, ‘‘শুধু বড় কর্পোরেট সংস্থা নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান এমনকি, স্টার্ট আপ সংস্থাও প্রতিরক্ষা উৎপাদনে অংশ নিচ্ছে। এখন আমরা ১,২০০ কোটি ডলারের (প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা) অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন করি। ২০২৫ সালে তা ২,২০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে আমরা আশাবাদী।’’ ‘ডিফেন্স এক্সপো’ কর্মসূচির উদ্বোধনে হাজির ছিলেন মোদীও।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, সামরিক ক্ষেত্রে মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার স্লোগান প্রত্যাশারও বেশি সাফল্য পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের জন্য বাজেট বরাদ্দের মোট ৬৪ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু তা ছাপিয়ে গিয়ে ব্যয় হয়েছে ৬৫.৫ শতাংশ। ওই অর্থবর্ষে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের জন্য বরাদ্দের ৯৯.৫ শতাংশ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজনাথের মন্ত্রক। মোদীর জমানায় ২০১৪ সাল থেকে চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৬ গুণ বেড়েছে বলেও সম্প্রতি একটি সরকারি রিপোর্টে জানানো হয়েছে।