কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। — ফাইল চিত্র।
মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগ (মুডা) থেকে প্রাপ্ত ১৪টি জমি ফিরিয়ে দিচ্ছেন সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী বিএম পার্বতী। কিন্তু নিরুত্তর সিদ্দারামাইয়া। শুধু বললেন, ‘‘ঘৃণার রাজনীতির শিকার হয়েছি!’’
জমি দুর্নীতি মামলায় পরিবার-সহ কাঠগড়ায় উঠেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘কোনও অর্থ পাচার হয়নি। আমার দল এ নিয়ে যা করার করবে। আমার স্ত্রী এ সবে বিরক্ত হয়ে জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা কোনও বিতর্ক চাই না।’’ সোমবারও সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, ‘‘আমার স্ত্রী চার দশকে কখনওই রাজনীতিতে পা রাখেননি। পরিবারকে নিয়েই থাকতেন। আজ আমার বিরুদ্ধে এই ঘৃণার রাজনীতির শিকার হতে হল তাঁকেও। তাঁর এই মানসিক নির্যাতনের জন্য আমি দুঃখিত। তবে জমি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে স্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’’
প্রসঙ্গত, জমি দুর্নীতি মামলায় সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ করেন স্নেহাময়ী কৃষ্ণ নামে এক সমাজকর্মী। তাতে বলা হয়, ‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই দুর্নীতিতে জড়িত।’ অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিয়েছেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থবর চাঁদ গহলৌত।
স্নেহময়ীর দাবি ছিল, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন ‘মুডা’র দফতরে। অন্য দিকে, পার্বতীকেও বেআইনি ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় (প্রাইম লোকেশন) বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠিও লেখেন ওই সমাজকর্মী। অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অনেকেই অবশ্য গোটা ঘটনায় বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন। কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে নানা মহল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও সিদ্দারামাইয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন।