— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। ১০২ জন যাত্রী নিয়ে হিমাচলের রোটাং পাসে ভেঙে পড়েছিল বায়ুসেনার বিমান। কয়েকটি দেহ উদ্ধার করা গেলেও অধিকাংশেরই খোঁজ মেলেনি। এ বার সেই দুর্ঘটনার ৫৬ বছর পর বরফের নীচ থেকে উদ্ধার হল আরও চার দেহ।
৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮। চণ্ডীগড় থেকে উড়েছিল বায়ুসেনার এএন-১২ বিমান। পাইলট ছাড়াও বিমানে ছিলেন ১০২ জন যাত্রী। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে রোটাং পাসের কাছাকাছি পৌঁছেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। শেষমেশ রোটাং পাসেই যাত্রী-সহ ভেঙে পড়ে বিমানটি। তার পর থেকে দশকের পর দশক ধরে যাত্রীদের মৃতদেহ নিয়ে ওভাবেই বরফের সমাধিতে শুয়ে ছিল বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী শৈলারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা প্রথম ওই বিমানের বরফে ঢাকা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। এর পর থেকে ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনার ডোগরা স্কাউট দলের উদ্যোগে একাধিক উদ্ধার অভিযান হয়েছে। কিন্তু এত চেষ্টা করেও এ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে মাত্র পাঁচটি দেহ। এ বার আরও চারটি দেহ উদ্ধার করলেন চন্দ্রভাগা পর্বত অভিযানের সদস্যেরা। যার ফলে সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া দেহের সংখ্যা দাঁড়াল ৯।
উদ্ধার হওয়া চারটি দেহের মধ্যে তিন জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁরা হলেন মালখান সিংহ, সিপাহী নারায়ণ সিংহ এবং টমাস চরণ। চতুর্থ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তবে তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। লোসারে ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই উদ্ধার অভিযান।