এমনই কাদার স্রোত বইছে সিয়াং নদীতে। ছবি: সংগৃহীত।
চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে অরুণাচলে বয়ে আসা সিংয়া নদীর স্বচ্ছ জলধারা হঠাৎ ঘোলা হয়ে গিয়েছে। জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে বিপুল পরিমাণ কাদা। আর তার জেরেই হড়পা বানের আশঙ্কা বেড়েছে অরুণাচল ও অসমে।
সরকারি সূত্রের খবর, সীমান্তের ওপারে নদীর উপর বড় ধরনের কোনও নির্মাণকাজ শুরু করেছে চিন। আর সে কারণেই এমন ঘটনা। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু ঘোলা হওয়াই নয়, অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সিয়াং নদীর জলস্তর গত কয়েক দিনে বেশ কিছুটা কমেও গিয়েছে। নদীপথ আটকে নির্মাণ কাজের জন্য এমনটা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাহাড়ে ধসের জেরে জমে থাকা সেই জলরাশি হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে নেমে এলে বিপাকে পড়তে পারে অরুণাচলের টুটিং, ইঙকিয়ং এবং পাসিঘাটের মতো শহরগুলি। পূর্ব সিয়াংয়ের জেলাশাসক তায়ি তাগু বলেছেন, ‘‘সিয়াং নদীর জলে কাদার পরিমাণ হঠাৎই খুব বেড়ে গিয়েছে। নদীর উজান পথে কোথাও বড় মাত্রায় মাটি কাটার কাজ হলে এমনটা হতে পারে। পরিস্থিতির আঁচ পেতে আমরা নদী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সতর্ক ভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।”
তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদী অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে প্রবাহিত। সিয়াং আরও নীচে নেমে এসে অসমে নাম নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। ভারতের আপত্তি উড়িয়ে ২০১৫ সাল থেকেই দফায় দফায় ওই নদীতে চিনা নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে ক্রমশই জলস্তর কমছে। চিনা বাঁধের কারণে অদূর ভবিষ্যতে অসম, অরুণাচল-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে মনে করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ।