শ্রদ্ধার মোবাইল নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিতে দিতেই গণ্ডগোল বাধে। ফাইল চিত্র।
একটি ভুল, ক্ষনিকের অসতর্কতা। তাতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যার তদন্তকারী দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে এই তথ্য। তারা বলেছে, শ্রদ্ধাকে নিয়ে পুলিশের জেরার মুখে আচমকাই একটি ভুল তথ্য দিয়ে ফেলেছিলেন আফতাব। সেই ভুলটিকে কাঁচা কাজ বলেই মন্তব্য করেছেন তদন্তকারীদের একাংশ। তাঁদের মতে আফতাব পাকা মাথার অপরাধী হলে এই ভুলটি কখনওই করত না।
পুলিশের কাছে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানানোর পরই তারা এই মামলায় তদন্ত শুরু করে। সেই সময়েই দিল্লি পুলিশের তরফে বেশ কয়েকবার বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আফতাবকে। শ্রদ্ধা কোথায়, কেন তাঁর সঙ্গে দিল্লি এসেও হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেন, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ কেন, এই সব প্রশ্ন করা হয়েছিল আফতাবকে। পুলিশ জানিয়েছে, জবাবে একটি সাজানো গোছানো গল্প শুনিয়েছিলেন আফতাব। পুলিশকে তিনি বলেছিলেন, শ্রদ্ধা ২২ মে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
কিন্তু আফতাবের বেশ কিছু জবাবে অসঙ্গতি পাওয়ায় পুলিশ শ্রদ্ধা এবং আফতাবের ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করে। শ্রদ্ধার বান্ধবীদের সঙ্গে তাঁর ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ রাখতেন আফতাব। পুলিশ জানতে পারে, শ্রদ্ধার ফোন থেকে আফতাবের ফ্ল্যাটের ঠিকানা থেকেই সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছিল ৩১ মে। অথচ আফতাবের বয়ান অনুযায়ী শ্রদ্ধা ২২ মেই দিল্লি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আফতাবকে এই প্রশ্ন করতেই পুলিশের সামনে ভেঙে পড়ে সে। স্বীকার করে নেয়, সেই খুন করেছে শ্রদ্ধাকে।