Shraddha Walker murder case

অন্য পুরুষে আসক্ত স্ত্রী! সন্দেহে দেহ কুচি কুচি করে কাটলেন স্বামী, শ্রদ্ধার মতোই পরিণতি

ছ’মাস আগে ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলীতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের অভিযোগ রয়েছে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এর পর তিনি শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪৬
Share:

শ্রদ্ধার মতো এই জ্যোতিরও দেহ টুকরোগুলি আলাদা আলাদা জায়গায় ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ফাইল চিত্র ।

রাজধানী দিল্লিতে ঘটে যাওয়া শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া এ বার উত্তরপ্রদেশে! স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত মহিলার নাম জ্যোতি। শ্রদ্ধার মতো এই জ্যোতিরও দেহ টুকরোগুলি আলাদা আলাদা জায়গায় ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের ঘটনা। জ্যোতিকে খুনের অভিযোগে স্বামী পঙ্কজ মৌর্য এবং পঙ্কজের বন্ধু দুর্জন পাসিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সীতাপুর পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার রামপুর কালান থানার অন্তর্গত গুলারিহা থেকে ৮ নভেম্বর জ্যোতির টুকরো করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে চলাকালীন পুলিশ প্রথমে পঙ্কজ এবং পরে দুর্জনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত পঙ্কজ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি তাঁর বন্ধুকে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, পঙ্কজ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, জ্যোতি নিয়মিত মাদকসেবন করতেন। দীর্ঘ দিন বাড়ি ছেড়ে অন্য এক যুবকের বাড়িতেও থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। আর এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়। এর পরই জ্যোতি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছে মনে করে তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন পঙ্কজ। বন্ধুর সাহায্যে জ্যোতিকে খুন করেন তিনি। দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় আলাদা আলাদা জায়গায়।

প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগে ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলীতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের অভিযোগ রয়েছে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এর পর তিনি শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেন। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে কেনা হয়েছিল নতুন ফ্রিজও। পরে ১৮ দিন ধরে ছতরপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসা হয়।

শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ ১২ নভেম্বর শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করে। সেই নিয়েই চলছে তদন্ত। তদন্তে নেমে একাধিক প্রমাণ উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement