নরেন্দ্র দাভোলকর । —ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই আততায়ী শরদ কালাসকর এবং শচিন আন্ডুরেকে শনাক্ত করলেন এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ কাম্বলে। শনিবার পুণের একটি আদালতে কিরণ ওই দুই আততায়ীকে শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার সরকারি আইনজীবী প্রকাশ সূর্যবংশী।
পেশায় চিকিৎসক তথা কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নরেন্দ্র দাভোলকরকে ২০১৩ সালের ২০ অগস্ট গুলি করে খুন করা হয়। এই খুনের পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার শুনানিতে কিরণ কাম্বলে বলে পুণে পুরসভার এক সাফাইকর্মী শনিবার আদালতে সে দিনের ঘটনার বিবরণ দেন। তিনি জানান, দাভোলকর খুনের দিন, অর্থাৎ ২০ অগস্ট তিনি নিজের কাজ সেরে রাস্তার ধারে একটি ডিভাইডারের উপরে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সে সময় তিনি পটকা ফাটানোর মতো আওয়াজ পান। সে দিকে তাকিয়ে তিনি দেখেন, এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে দু’জন গুলি চালাচ্ছে। তার পরেই ওই দুই ব্যক্তি কিরণ যে দিকে বসে ছিলেন, সে দিকে পুলিশ চৌকি পর্যন্ত ছুটে আসে এবং রাস্তার ধারে পার্ক করে রাখা মোটরবাইক স্টার্ট করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে কিরণ দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় এক প্রবীণ ব্যক্তি সেখানে পড়ে আছেন। ওই খুনের পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের পৌঁছতে এবং তদন্ত শুরু করতে দেরি হওয়া নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল, কিরণের বক্তব্যেও তার সমর্থন মিলেছে। সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ, যুক্তিবাদী আন্দোলনের নেতা নরেন্দ্র দাভোলকর, বাম নেতা গোবিন্দ পানসারে-সহ একাধিক খুনের পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাত রয়েছে বলে গোড়া থেকেই অভিযোগ উঠেছে। সেই সব ঘটনার তদন্তে এবং মামলায় বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।