National News

লকডাউনের মধ্যেই শিবরাজের শপথ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভোপালে এখন লকডাউন চলছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০২:৩৯
Share:

শিবরাজ সিংহ চৌহানের শপথে সঙ্গী মাস্ক। ছবি: পিটিআই।

ফের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হলেন শিবরাজ সিংহ চৌহান। এ নিয়ে চার বার রাজ্যের দায়িত্বে এলেন তিনি। সোমবার রাতে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে শিবরাজকে নেতা নির্বাচিত করা হয়। পরে রাজ্যপাল লালজি টন্ডন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। বিধানসভা ভোটে হারের পরেও শিবরাজের শপথে আরও একটি রাজ্য বিজেপির দখলে এল।

Advertisement

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভোপালে এখন লকডাউন চলছে। সে কারণে আজ রাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। গত বৃহস্পতিবার কমল নাথের সরকারের থেকে শাসক দলের ২২ জন বিধায়ক সমর্থন তোলার পরে আস্থাভোটে না গিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী। পতন হয়েছিল ১৫ মাসের সরকারের। এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন কমল নাথ। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী ওই বিধায়কেরাও নরেন্দ্র মোদীর দলে যোগ দিয়েছেন। সরকার গঠন নিয়ে আর সময় নষ্ট করেনি বিজেপি। দলের নেতাদের দাবি, করোনা-র কারণে দেশে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি, তাতে মধ্যপ্রদেশে সক্রিয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা দ্রুত ফেরানোর প্রয়োজন ছিল। সে জন্য আজ রাতেই শপথ।

তবে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে সরকার গঠন হলেও নতুন নেতা ঠিক করা নিয়ে চাপে রয়েছে বিজেপি। শিবরাজের নেতৃত্বে বিধানসভা ভোটে হারের পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছিলেন না অনেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর অথবা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের নাম মুখ্যমন্ত্রীর পদে বিবেচিত হচ্ছিল। কে নেতা হবেন, সে ব্যাপারে নীরব ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। আজ বিজেপির বৈঠকে নরেন্দ্র ও নরোত্তমের নামগুলি সামনে এলে আপত্তি তোলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেবরচন্দ্র গহলৌত ও প্রহ্লাদ জোশীর নামও আলোচনায় আসে। শেষ পর্যন্ত বিধায়কদের মধ্যে শিবরাজের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে তাঁকে নেতা নির্বাচিত করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের নকশা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

এ বার শিবরাজের সামনে চ্যালেঞ্জ হবে প্রায় দু’ডজন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলকে জিতিয়ে আনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement