অর্ণবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি শিবসেনার। —ফাইল চিত্র।
সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের গোপন তথ্য অর্ণব গোস্বামীর কাছে গেল কী ভাবে, এ বার প্রশ্ন তুলল বিজেপির এক সময়কার শরিক শিবসেনাও। গেরুয়া-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই সাংবাদিক দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উদ্ধব ঠাকরের দলের। অর্ণবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে বলেও দাবি তুলেছে তারা। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘আমার মনে হয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছেন অর্ণব। অনেক ক্ষেত্রে, প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকেও সেনাবাহিনীর তথ্য গোপন রাখা হয়। কোনও জওয়ানের কাছ থেকে যদি এই সংক্রান্ত কোনও নথি উদ্ধার হয়, তা হলে তাঁকে কোর্ট মার্শাল করা হয়। সেখানে অর্ণব তো আগে থেকেই বালাকোট অভিযানের কথা জানতেন। অর্থাৎ জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হয়েছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এ ব্যাপারে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কী মত? সেনাবাহিনীর জন্যও বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা জানতে চাই, অর্ণবকে কি কোর্ট মার্শাল করা হবে?’’
গোটা ঘটনায় দলের মুখপত্র ‘সামনা’র একটি প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি-কেও একহাত নেয় শিবসেনা। তাতে বলা হয়, ‘‘বিজেপি-র লোকজন যদি ভাবেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য চালাচালি করা দেশদ্রোহ নয় এবং এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা জরুরি অবস্থার সমান, তা হলে জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে নিজেদের জ্ঞান যাচাই করে দেখা উচিত ওঁদের।’’
পুলওয়ামা হামলার জবাবে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। লোকসভা নির্বাচনে আগে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বায়ুসেনার সেই কৃতিত্ব ভাঙিয়ে ভোট হাসিল করার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ডেরায় ভোটের মাস্টারস্ট্রোক, নন্দীগ্রামে প্রার্থী মমতাই
আরও পড়ুন: ‘বালাকোট চ্যাট’ ফাঁস নিয়ে ইমরানের টুইট, আক্রমণ মোদীকে
সেই বালাকোট নিয়ে অর্ণবের একটি হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ফাঁস হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি। তাতে ২৩ ফেব্রুয়ারি ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাসগুপ্তর সঙ্গে সেনার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে অর্ণবকে, যা থেকে স্পষ্ট যে বায়ুসেনা বালাকোটে অভিযান চালাতে চলেছে, সে কথা আগে থেকেই জানতেন অর্ণব। জবাবে পার্থ তাঁকে জানান, ‘বিগ ম্যান’-এর পক্ষে তা ভালই হবে। দেশবাসী খুশি হবেন। তিনি ভোটে বড় জয় পাবেন। এই নিয়েই নতুন করে বিতর্ক দানা বেধেছে। সোমবারই এই ‘বালাকোট চ্যাট’ ফাঁস নিয়ে টুইটারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।