শীনা বরা এবং ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
তাঁর মেয়ে শীনা বরা বেঁচে আছে। সে কাশ্মীরে রয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই অধিকর্তাকে চিঠি লিখেছেন শীনা বরা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।
চিঠিতে ইন্দ্রাণী দাবি করেছেন, সম্প্রতি জেলে এক মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সেই মহিলা ইন্দ্রাণীকে জানিয়েছেন কাশ্মীরে শীনার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। ওই মহিলার দাবিকে চিঠিতে উল্লেখ করে শীনার খোঁজে কাশ্মীরে অনুসন্ধান চালানোর জন্য সিবিআইয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ইন্দ্রাণী। এ প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে একটি আবেদনও করেছেন তিনি।
মেয়ে শীনাকে হত্যার অভিযোগে ২০১৫ থেকে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ইন্দ্রাণী। গত মাসেই বম্বে হাই কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ইন্দ্রাণী। মেয়েকে খুন করার অভিযোগ ছ’বছর ধরে জেল খাটা ইন্দ্রাণীর এমন দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
শীনা বোরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসে ইন্দ্রাণীর গাড়িচালক শ্যামবর রাই গ্রেফতার হওয়ার পর। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছিলেন, শীনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন ইন্দ্রাণী। ২০১২-তে নিখোঁজ হয়ে যান শীনা। গুয়াহাটিতে দাদু-দিদার কাছে থাকতেন শীনা এবং তাঁর ভাই মিখাইল। ইন্দ্রাণী ছেলেমেয়েকে ছেড়ে মুম্বইয়ে চলে যান। সেখানে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন।
শীনা সেটা জানতে পেরে মুম্বইয়ে ইন্দ্রাণীর কাছে হাজির হন। ইন্দ্রাণী তখন পিটার এবং তাঁর পরিচিতদের কাছে শীনাকে নিজের বোন বলে পরিচয় দেন। পরে তদন্তে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে বাড়ির জন্য ইন্দ্রাণীকে হুমকি দিতেন শীনা। এর মধ্যেই শীনার সঙ্গে পিটারের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শীনা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর রাহুলকে জানানো হয় পড়াশোনার জন্য বিদেশে গিয়েছেন শীনা। প্রায় তিন বছর পর ২০১৫-তে শীনার হত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় ইন্দ্রাণী, পিটার এবং ইন্দ্রাণীর প্রথম পক্ষের স্বামী সঞ্জীব খান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২০-তে জামিন পান পিটার।