ছবি: পিটিআই।
পিএইচ ডি, এম.টেকের পড়ুয়াদের স্টাইপেন্ড আটকে না-রাখার আর্জি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার সাংসদ শশী তারুর। সময়ে স্টাইপেন্ড না-পাওয়ার কারণে বিশেষত রিসার্চ স্কলারদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে হালে বার বার অভিযোগ জানিয়েছেন জেএনইউ-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। চিঠিতে তারুর লিখেছেন, “৩৩তম ফিনান্স কমিটির বৈঠকে পিএইচ ডি/ এম.টেকের পড়ুয়াদের স্টাইপেন্ড দেওয়ার বিষয়টি আপাতত পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
আর্থিক বিষয়ক দফতর। তা করা হয়েছে মূলত বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে। কিন্তু প্রবল আর্থিক সমস্যার বাস্তবতা মেনেও সরকারের উচিত, ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা।” তাঁর আশঙ্কা, নইলে রিসার্চ স্কলাররা ঘোর বিপদে পড়বেন। থমকে যাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজও। সময়ে স্টাইপেন্ড না-পাওয়ায় রিসার্চ স্কলারদের সমস্যার কথা বলেছে ছাত্র সংগঠনগুলিও। এসএফআই, এআইএসএ, জেএনইউএসইউয়ের প্রতিনিধিদের মুখে বার বার ঘুরেফিরে এসেছে এই প্রসঙ্গ। এ নিয়ে একাধিক বার বিক্ষোভও দেখিয়েছে তারা।
টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (টিআইএফআর) হায়দরাবাদের পোস্ট ডক্টরাল গবেষক, ডেমোক্রেটিক রিসার্চ স্কলার্স অর্গানাইজেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক অর্ঘ্য দাস এদিন জানালেন, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অনুদান খুবই অনিয়মিত। এর আগেও অনিয়মিত ছিল। মে মাস থেকে তারা এর বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক সমিতির সম্পাদক শুভদীপ দাস জানালেন, মে মাসের পর থেকে ইউজিসির কোনও অনুদান তাঁরা পাচ্ছেন না।