শশী তারুর।—ফাইল চিত্র।
চোস্ত ইংরেজি বলেন। তাই বলে শিকড়ের টান ভোলেননি। ফের প্রমাণ করলেন শশী তারুর। প্রাণায়ামের ইংরেজি নাম রাখায়, এক মার্কিন ওয়েবসাইটকে তুলোধনা করলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি মার্কিন ওয়েবসাইটে প্রাণায়ামের উপকারিতা নিয়ে প্রতিবেদন বেরোয়। তাতে প্রাণায়ামকে ‘কার্ডিয়াক কোহেরেন্স ব্রিদিং এক্সারসাইজ’ বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এতে হৃদস্পন্দন স্থিতিশীল থাকে। উত্কণ্ঠায় ভোগার অভ্যাস থাকলে, তা-ও নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংস্কৃতে প্রাণায়ামের অর্থ শ্বাস নিয়ন্ত্রণ। তার ইংরেজি নামকরণ পছন্দ হয়নি কংগ্রেস সাংসদ তারুরের। প্রতিবেদনটি চোখে পড়তেই টুইটারে তাদের একহাত নেন তিনি। ওই ওয়েবসাইটের উদ্দেশে লেখেন, ‘আড়াই হাজার বছর পুরনো ভারতীয় যোগ প্রক্রিয়া প্রাণায়াম। তার গুণাগুণ বোঝাতে বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয়েছে কার্ডিয়াক কোহেরেন্স ব্রিদিং। পূর্বপুরুষরা আমাদের প্রাণায়ামের উপকারিতা বুঝিয়ে গিয়েছেন ঢের আগে। তা বুঝে উঠতে এতদিন সময় লাগল পশ্চিমের। যাইহোক, আপনাদের স্বাগত।’
শশী তারুরের টুইট।
আরও পড়ুন: অসুস্থ বাবাকে নিয়ে রাতভর দৌড় সাব-ইনস্পেক্টরের, সরকারি বিমা শুনেই মুখ ফেরাল ৪ হাসপাতাল
আরও পড়ুন: মমতার ছবি কোটি টাকা দিয়ে কেনেন চিটফান্ড মালিকেরা, বললেন অমিত
মুহূর্তের মধ্যে তারুরের টুইটটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ সেটি রিটুইট করেন। পশ্চিমি দুনিয়ার বিরুদ্ধে প্রাচীন ভারতীয় প্রথাগুলিকে নিজেদের বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন অনেকে। তার উদাহরণও তুলে ধরেন। যেমন, ঠাণ্ডা লাগলে দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করার প্রচলন রয়েছে ভারত। হালফিলে এই প্রথা চালু হয়েছে আমেরিকা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও। তবে সেখানে তার পোশাকি নাম রাখা হয়েছে ‘টার্মারিক লতে’। ওঠবোসের পোশাকি নাম রাখা হয়েছে ‘সুপার ব্রেইন যোগা’।
এই ধরনের চুরি রুখতে নেটিজেনদের অনেকে আবার যোগাসন থেকে খাদ্যাভ্যাস, সমস্ত ভারতীয় প্রথার উপর কপিরাইট বসানোর পরামর্শ দেন।