শশী তারুর। ফাইল চিত্র
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রী হিসাবে সোমবার এক বছর পূর্ণ করবেন সোনিয়া গাঁধী। তার ঠিক আগের দিনই দলের পূর্ণ মেয়াদের সভাপতির জন্য সওয়াল করলেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস ‘দিগভ্রান্ত’ এই তকমা মুছে ফেলার জন্য দলে এক জন পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি চাই। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাহুল গাঁধীর অকুষ্ঠ প্রশংসাও শোনা গিয়েছে কেরলের ওই নেতার গলায়।
রাহুল গাঁধী সরে যাওয়ার পর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রীর দায়িত্ব নেন সনিয়া গাঁধী। ১০ অগস্ট অর্থাৎ আগামিকাল তার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। ঠিক সেই সময়েই শশী তারুর মোক্ষম প্রশ্ন তুলেছেন। ওই কংগ্রেস নেতা বলছেন, ‘‘কংগ্রেস দিগভ্রান্ত এবং ভাসমান এই ধারণা মুছে ফেলতে দলের পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি খোঁজার কাজটা খুব তাড়াতাড়ি করা প্রয়োজন।’’ পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারুর বলেছেন, ‘‘এগিয়ে যেতে গেলে আমাদের নেতৃত্ব সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। গত বছর সনিয়া গাঁধী যখন অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি হয়েছিলেন তখন আমি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয়, তিনি এই বোঝা আজীবন বইবেন এটা বিশ্বাস করা অন্যায় হবে।’’
সনিয়ার পর কংগ্রেসের সভাপতির পদে কে? সেই প্রশ্ন ফের এক বার তুলে দিয়েছেন শশী তারুর। তাঁর মতে, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রাহুল গাঁধীর সাহস, ক্ষমতা এবং স্বাভাবিক প্রবৃত্তি রয়েছে। কিন্তু রাহুল ওই পদে থাকতে না চাইলে কী হবে? তারুরের প্রস্তাব, কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য দলের অবশ্যই নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য আত্মনির্ভরতা, ১০১ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গাঁধী। তার পর থেকে ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সনিয়াই। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাহুলকে ওই পদে ফেরানোর জন্য দাবি উঠছে কংগ্রেসের বিভিন্ন মহল থেকেই। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির শেষ তিনটি বৈঠকেই রাহুলকে ফেরানোর চড়া সুর শোনা গিয়েছে। এই সময়েই শশী তারুরের এই মন্তব্য গোটা বিষয়টিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করল।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে পাক হিন্দু শরণার্থী পরিবারে রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার ১১ দেহ
করোনা এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ এবং ব্যর্থতার কথা যে ভাবে রাহুল গাঁধী তুলে ধরেছেন তার প্রশংসা করেছেন শশী তারুর। তাঁর মতে, ‘‘করোনা বা চিনা আগ্রাসন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, রাহুল গাঁধী একা সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে এবং ব্যর্থতার বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।’’