নিজের হাতে গড়া দলের শীর্ষপদে ফিরে এলেন পওয়ার। ফাইল চিত্র।
দলের অভ্যন্তরীণ কমিটি সকালেই তাঁর ইস্তফার সিদ্ধান্তকে খারিজ করেছিল। দলের সভাপতি হিসাবে থেকে যাওয়ার আর্জিও জানিয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার জানিয়ে দিলেন আপাতত দলের সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। গত মঙ্গলবার নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন পওয়ার। তিন দিন পরে নিজের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’।
মহারাষ্ট্রের অশীতিপর এই রাজনীতিক শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সব বিষয় খতিয়ে দেখার পর আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে, দলের সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব আমি।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আমার আগের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিচ্ছি।” মঙ্গলবার মুম্বইয়ে আত্মজীবনীর নতুন সংস্করণ প্রকাশ অনুষ্ঠানে নাটকীয় ভাবে পওয়ার জানান, তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। নিজের হাতে গড়া দলের শীর্ষপদ থেকে এই প্রবীণ রাজনীতিক কেন ইস্তফা দিতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।
পওয়ারের পর দলের হাল কে ধরবেন, তা ঠিক করতে শুক্রবার সকালেই বৈঠকে বসেছিল দলের অভ্যন্তরীণ একটি কমিটি। কারা কারা কমিটির সদস্য হবেন, তা ঠিক করে দিয়েছিলেন পওয়ারই। তাঁর পরামর্শ মেনেই একটি কমিটি গঠন করে এনসিপি। ওই কমিটিতে ছিলেন দলের সাংসদ তথা পওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে, মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা তথা পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার, প্রফুল্ল পটেল, জয়ন্ত পাতিল, বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল, অনিল দেশমুখ এবং অন্যান্য নেতা।
শুক্রবার বৈঠকের শেষে এই কমিটি পওয়ারকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে। এর পাশাপাশি পওয়ারের ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় ওই কমিটি। বৈঠকের পর ওই কমিটির অন্যতম সদস্য তথা পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ারের ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পওয়ার দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু আমরা সবাই মিলে তাঁর ওই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে তাঁকেই দলের সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।” ঘটনাচক্রে, কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই এনসিপির সদর দফতর, এমনকি পওয়ারের বাসভবন সিলভার ওকের সামনে উচ্ছ্বাসে মাতেন কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের প্রিয় ‘সাহেব’ পওয়ার এনসিপি সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব পাস হওয়ায় বাজি পুড়িয়ে উচ্ছাসে মাতেন তাঁরা।