শরদ পওয়ার (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ না করার আর্জি জানিয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যেরা। রবিবার সন্ধের পর মুম্বইয়ে পওয়ারের বাসভবন ‘সিলভার ওক’-এ যেতে পারেন বিরোধী দলের বেশ কিছু সাংসদ এবং বিধায়ক। ‘ইন্ডিয়া’র একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব), আপ, সিপিএমের বেশ কয়েক জন জনপ্রতিনিধি সাক্ষাৎ করবেন পওয়ারের সঙ্গে। এমনকি, পওয়ারের দল এনসিপির কয়েকজন বিধায়কও দেখা করতে পারেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’-এর সঙ্গে। উল্লেখ্য যে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং শিবসেনা (উদ্ধব)-র সঙ্গে ‘মহা বিকাশ অঘাড়ি’ জোটে রয়েছে এনসিপি।
আগামী মঙ্গলবার পুণেতে লোকমান্য তিলকের ১০৩তম প্রয়াণবার্ষিকীতে মহারাষ্ট্রের পুণেতে তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পুরস্কার প্রদানকারী ‘তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্টে’র তরফে জানা গিয়েছে, মোদী সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে। বিশ্ব মানচিত্রে ভারতকে উজ্জ্বল ভাবে তুলে ধরতে সফল কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কারণেই মোদীকে এই সম্মান জানাচ্ছে ওই সংস্থা। ওই সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে, মোদীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন পওয়ার।
আয়োজকেরা আগেই জানিয়েছিলেন, পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শরদ পওয়ারকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এনসিপিতে বিদ্রোহ করে দলের সিংহভাগ বিধায়ককে ভাঙিয়ে বিজেপির হাত ধরা অজিত পওয়ারও। সংগঠনের তরফে যে অতিথি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রমেশ বইস, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং দুই উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস ও অজিত পওয়ার।
বিরোধী জোটের শরিক দলগুলির বক্তব্য, বর্তমান রাজনৈতিক আবহে কোনও বিরোধী নেতার মোদীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করা সঠিক হবে না। তাই মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি পওয়ার যাতে পুনর্বিবেচনা করে দেখেন, সেই আর্জিই জানানো হবে দলগুলির তরফে। যদিও কংগ্রেসের বক্তব্য, অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন পওয়ারই। তবে শিবসেনা (উদ্ধব) এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ারই পক্ষপাতী। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত এই প্রসঙ্গে বলেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী ‘ইন্ডিয়া’ নাম নিয়ে নানা ব্যাঙ্গবিদ্রুপ করছেন, যখন তাঁর দল এনসিপিকে ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে, তখন পওয়ার সাহেবের প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া ঠিক হবে না।” এই প্রসঙ্গে রাউতের সংযোজন, “বিজেপি শুধু এনসিপিকেই ভাঙেনি, সেটিকে দুর্নীতিগ্রস্ত দলও বলেছে। এর পর কী ভাবে সেই দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রীর হাতে সম্মাননা তুলে দিতে পারেন?”