(বাঁ দিকে) উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পওয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ অঘাড়ি’ ক্ষমতায় এলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শরদ পওয়ার। শনিবার মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে প্রবীণ এই এনসিপি (এসসিপি) নেতা জানান, নির্দিষ্ট এক জন নেতা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কাউকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে যে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট লড়বে না, তারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন পওয়ার। কিছু দিন আগেই শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত উদ্ধবকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন। শনিবার কার্যত সেই দাবিতে জল ঢাললেন পওয়ার।
শনিবার পওয়ার বিরোধী জোটের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সম্পর্কে বলেন, “আমাদের জোট সম্মিলিত ভাবে লড়াই করবে। যৌথ নেতৃত্বই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি।” বিরোধী জোটের তিন শরিক দল কংগ্রেস, এনসিপি (এসসিপি) এবং শিবসেনা (ইউবিটি)-র নেতারা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান পওয়ার। পওয়ার এ-ও জানান যে, তাঁর আশা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহাবিকাশ অঘাড়িতে যোগ দেবে।
মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে এ বার বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ী তথা ইন্ডিয়া মঞ্চ পেয়েছে ৩০টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস ১৩টি, উদ্ধবের শিবসেনা ন’টি এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি আটটিতে জিতেছে। অন্য দিকে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাদ্যুতি জোট (বিজেপি, অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি, একনাথ শিন্ডেপন্থী শিবসেনা) জিতেছে ১৭টি আসনে। বিজেপি ন’টি, শিন্ডেসেনা সাতটি, অজিতপন্থী এনসিপি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। সাংলি লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বিশাল পাটিল। সে রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসন্তদাদা পাটিলের পৌত্র বিশাল জেতার পরেই সনিয়া গান্ধী এবং রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কংগ্রেসের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শিবসেনায় ভাঙন ধরার আগে বিরোধী জোটের নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উদ্ধব। তাই উদ্ধবকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলেছে শিবেসনা (ইউবিটি) কর্মীসমর্থকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন মহারাষ্ট্রে।